ডেস্ক রিপোর্ট :
সারা দেশে বন্যায় পানিবাহিতসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ২৯ হাজার ২৪১ জন। বন্যাজনিত রোগ ও বন্যায় সৃষ্ট দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১৩৭ জনের।
শুক্রবার (৫ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে দেশের বন্যা পরিস্থিতি বিষয়ক বিবৃতি থেকে এ তথ্য জানা যায়।
এতে জানানো হয়, বন্যাজনিত কারণে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৬০ জন বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে এই সময়ে বন্যা সংক্রান্ত কারণে নতুন করে কারও মৃত্যু হয়নি।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, দেশের বিভিন্ন জেলায় এখন পর্যন্ত ১৩৭ জন মারা গেছেন। সিলেট বিভাগেই ৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সিলেট সদর উপজেলায় ২০, সুনামগঞ্জে ২৯, মৌলভীবাজারে ১৯ ও হবিগঞ্জে ৯ জন মারা গেছেন।
ময়মনসিংহ বিভাগে বন্যাজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে ৪৩ জনের। এর মধ্যে ময়মনসিংহে ৬, নেত্রকোনায় ২০, জামালপুরে ১০ ও শেরপুরে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া রংপুর বিভাগে এখন পর্যন্ত বন্যায় ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে কুড়িগ্রামে ৫ ও লালমনিরহাটে ১১ জন মারা গেছেন। ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইলে বন্যায় একজনের মৃত্যু হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে জানা যায়, গত ১৭ মে থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত দেশে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৬৬৪ জন। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ডায়রিয়ায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। আরটিআই (চোখের রোগ) রোগে আক্রান্ত হয়েছে এক হাজার ৬০০ জন, এ রোগে কারো মৃত্যু হয়নি।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বন্যাকবলিত এলাকায় বজ্রপাতে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ জন, এছাড়াও ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। সাপের দংশনে ৩৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন, ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে ১০৭ জনের।
চর্মরোগে ৩ হাজার ৬৩৯, চোখের প্রদাহজনিত রোগে ৪৭২ ও নানাভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন ৮৭৬ জন। এছাড়া অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৮৫৪ জন এবং তাদের মধ্যে মারা গেছেন ৯ জন।