বিনোদন ডেস্ক :
চলচ্চিত্র ‘হাওয়া’র পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমনের নামে মামলা হয়েছে। বন বিভাগের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট এ মামলা করেছে বলে জানা গেছে।
বনবিভাগের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের ওয়াইল্ডলাইফ ইন্সপেক্টর অসীম মল্লিক আজ বুধবার এনটিভি অনলাইনকে এতথ্য নিশ্চত করেছেন। তিনি মামলাটির তিনজন সাক্ষীর একজন।
অসীম বলেছেন, ‘মামলাটির এখনও শুনানি হয়নি। কোর্ট খুললে শুনানি হবে। তখন বিস্তারিত বলতে পারব।’
জানা গেছে, আজ বুধবার ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে এই মামলা দায়ের করা হয়। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলাটি করা হয়। ওই মামলায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২-এর ধারা ৩৮ (১-২), ৪১ ও ৪৬ লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট।
মামলার তিন সাক্ষীর একজন তদন্ত কর্মকর্তা অসীম জানান, বন্যপ্রাণী পরিদর্শক নারগিস সুলতানা বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। মামলায় অন্য দুই সাক্ষী হলেন, আব্দুল্লাহ আস সাদিক ও রথিন্দ্র কুমার বিশ্বাসকে। তাঁরা তদন্ত কমিটির সদস্য।
গত ২৯ জুলাই হাওয়া মুক্তি পায়। মুক্তির পর একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত চলচ্চিত্রটির রিভিউতে জানা যায়, এই চলচ্চিত্রে একটি পাখিকে হত্যা করে চিবিয়ে খেয়েছেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। রিভিউ প্রকাশের পর হাওয়া চলচ্চিত্রে একটি শালিক পাখিকে খাঁচায় আটকে রাখা ও একপর্যায়ে হত্যা করে খাওয়ার দৃশ্য দেখানোর মাধ্যমে বন্যপ্রাণী আইন লঙ্ঘন হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন অনেকে। তারপর গত ১০ আগস্ট এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দেয় দেশে পরিবেশ ও প্রকৃতি নিয়ে কাজ করা ৩৩টি সংগঠনের সমন্বিত প্রয়াস বাংলাদেশ প্রকৃতি সংরক্ষণ জোট (বিএনসিএ)। এর পরদিন প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে চলচ্চিত্রটি দেখে আইন লঙ্ঘনের প্রমাণ মিলেছে বলে জানান বন অধিদফতরের গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা।
যদিও সিনেমাটির নির্মাতা মেজবাউর রহমান সুমন শুরু থেকে দাবি করে আসছিলেন, তারা আইন লঙ্ঘনের মতো কিছু করেননি। তার ভাষায়, এটা একটা ফিকশনাল ওয়ার্ক। এখানে কোনো বন্যপ্রাণী হত্যা করা হয়নি। দৃশ্যায়নের প্রয়োজনে এখানে বিকল্প ব্যবহার করা হয়েছে।
সিনেমার শুরুতেই সেই ‘ডিসক্লেইমার’ দেওয়া হয়েছিল জানিয়ে সুমন বলেছিলেন, যারা আলোচনা করছে, তারা সিনেমার শুরুটা হয়ত ‘মিস’ করেছেন।
হাওয়া চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, নাজিফা তুষি, শরিফুল রাজ, সুমন আনোয়ার, সোহেল মণ্ডল, নাসির উদ্দিন খান, রিজভী রিজু প্রমুখ।