বলিউডের সুপারস্টার সিঙ্গার বলা হয় নেহা কক্করকে। বেশ কিছু চার্টবাস্টার গান রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। বিশ্বজুড়ে নেহার রয়েছে অগণিত ভক্ত। গানের রিয়েলিটি শোতে নেহাকে বিচারকের ভূমিকায় দেখা যায়। সেখানে মানুষের দুঃখ-কষ্টে আবেগপ্রবণ হতেও দেখা যায়। তবে অনেকে তাঁর কান্না নিয়ে কটাক্ষ করেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবর, রিয়েলিটি শোতে যখন প্রতিযোগীদের দুর্দশার কথা শোনেন, তখন নেহার চোখে জল দেখা যায়। এমনকি নিজের জীবনের গল্প বলতে গিয়েও কাঁদতে দেখা গেছে নেহাকে।
এ জন্য অনেকে নেহা কক্করকে ‘ক্রাই বেবি’ বলে কটাক্ষ করেন। অন্তর্জালে মিমও তৈরি হয় অগণিত। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তার জবাব দিয়েছেন নেহা।
নেহা কক্কর বলেন, ‘আমি তাঁদের দোষ দিতে পারি না। এমন অনেক লোক আছেন, যাঁরা একেবারেই আবেগপ্রবণ নন! যাঁরা আবেগপ্রবণ নন, তাঁদের আমাকে নকল বলে মনে হবে। তবে আমার মতো সংবেদনশীল মানুষ বুঝতে পারবেন। আজ আমরা খুব বেশি লোককে দেখতে পাই না যাঁরা অন্যদের ব্যথা অনুভব করতে পারে এবং যাঁরা তাদের সাহায্য করতে চান। আমার মধ্যে সেই গুণটি আছে এবং এ নিয়ে আমার কোনও অনুশোচনা নেই।’
২০০৮ সালে প্রকাশ হয় ‘নেহা : দ্য রকস্টার’ অ্যালবাম, সুর করেন মিট ব্রোস। ‘ফাটা পোস্টার নিকলা হিরো’ সিনেমায় তাঁর গাওয়া ‘ধাতিং নাচ’ গানটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। এরপর তাঁর গাওয়া ‘সানি সানি’ গানটি তাঁকে তুমুল পরিচিতি এনে দেয়। ‘লন্ডন ঠমকড়া’ চার্টবাস্টার হয়।
এরপর একের পর এক হিট গানের জন্য জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন নেহা কক্কর। ‘মিলে হো তুম’, ‘কর গ্যায়ি চুল’, ‘দিলবার’, ‘মানালি ট্র্যান্স’, ‘কালা চশমা’, ‘আঁখ মারে’,‘কোকাকোলা তু’, ‘দো পেগ মার’, ‘মাহি বে’, ‘ন্যায়না’, ‘ম্যায় তেরা বয়ফ্রেন্ড’, ‘ও সাকি সাকি’ (রিমেক), ‘গরমি’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গান রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। পেয়েছেন বেশ কয়েকটি পুরস্কার।