জন্মস্থান ব্রাজিলের পরেই নেইমারের প্রিয় দেশটি বাংলাদেশ। কারণ, ইন্টারনেটে ব্রাজিলের পরে এ দেশ থেকেই সবচেয়ে বেশি খোঁজা হয় তারকা ফুটবলার নেইমারকে। এমনটাই বলেছেন নেইমারের কাছের বন্ধু বাংলাদেশের সন্তান মো. রবিন।
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়নের গাজিরটেক মোল্লাবাড়ির বাসিন্দা রবিন। আজ থেকে ১৫ বছর আগে পড়ালেখার উদ্দেশে পাড়ি জমিয়েছিলেন ব্রাজিলে। পরে সেখানে যুক্ত হন ব্যবসায়ী হিসেবে। সে সময়ে রবিনের পরিচয় হয় জোয়ান সেলসো নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে। সেলসো নেইমারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আর এভাবেই সেলসোর মাধ্যমে রবিনের বন্ধুত্ব হয় নেইমারের সাথে।
গত ১৫ নভেম্বর রবিনের ছেলে রেদোয়ানের জন্মদিনে নেইমার শুভেচ্ছা জানিয়ে এক ভিডিও বার্তা দেন। পরে সেটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে ছড়িয়ে পড়ে। এর পরেই নেইমারের ‘বাংলাদেশি বন্ধু’ হিসেবে পরিচিতি পান রবিন।
রবিন বলেছেন, ‘বাংলাদেশে যে নেইমারের এতো ভক্ত রয়েছে তার খোঁজ তিনি রাখেন। আমি তাঁকে সপরিবারে বাংলাদেশে আসার অনুরোধ করেছি, এতে নেইমার রাজিও হয়েছে। নেইমার বলেছে স্পন্সর পেলে বাংলাদেশে আসা কোনো ব্যাপারই না। এমনকি সঙ্গে লিওনেল মেসিকেও নিয়ে আসা সম্ভব। আমি আপ্রাণ চেষ্টা করছি তাঁকে এ দেশে নিয়ে আসতে। এ দেশের ভক্তদের সঙ্গে নেইমারকে দেখা করিয়ে দিতে চাই।’
নেইমার ও তাঁর পরিবারের বিষয়ে রবিন বলেন, ‘পরিবারের পক্ষ থেকে নেইমারের বাবা সবকিছু দেখাশুনা করেন। কাতার বিশ্বকাপে ওর বাবা, বোন রাফায়েলা, মা এবং কাছের বন্ধুসহ আত্মীয়স্বজন খেলা দেখতে আসবেন। সকলেই আমাকে খুব পছন্দ করেন। তো সেই জায়গা থেকে আমি যতদূর সম্ভব তাদের দেখভাল করার চেষ্টা করব।’
নেইমারের ব্যক্তিত্ব নিয়ে রবিন বলেছেন, ‘আপনারা যারা নেইমারকে চেনেন, তারা খেলোয়াড় হিসেবে চেনেন। কিন্তু আমি চিনি বন্ধু হিসেবে। সে একজন অসাধারণ মানুষ। না হলে আমার মতো সাধারণ এক বাঙালির সঙ্গে তাঁর এমন বন্ধুত্ব হওয়ার প্রশ্নই আসতো না। নেইমার সকলকেই এভাবে খুব আপন করে নেয়।’
এদিকে আর মাত্র ২৪ ঘণ্টা পরেই পর্দা উঠছে কাতার বিশ্বকাপের। সেখানে ব্রাজিল রয়েছে ‘জি’ গ্রুপে। আগামী ২৫ নভেম্বর রাত ১টায় সার্বিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবে নেইমার-ভিনিসিউসরা। এ ছাড়া, ২৮ নভেম্বর রাত ১০টায় সুইজারল্যান্ড ও ৩ ডিসেম্বর রাত ১টায় ক্যামেরুনের বিপক্ষে খেলবে তিতের শিষ্যরা। এসময় প্রতিটা ম্যাচে চোখ থাকবে বাংলাদেশি ভক্তদের।