বিনোদন ডেস্ক :
ইংরেজি নতুন বছর উদযাপনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু সীমারেখা টেনে দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায়ই ঢাকার সব বার বন্ধ করতে বলা হয়েছে। নিষিদ্ধ করা হয়েছে ফানুস ওড়ানো। উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করা যাবে না।
এছাড়া থার্টি ফার্স্ট নাইটে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় ঢাকায় উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান, সমাবেশ, কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কিংবা ডিজে পার্টি আয়োজন করা যাবে না।
২০২৩ সাল শুরুর আগের দিন শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব বিধি-নিষেধের কথা জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, নিষেধ অমান্য করলে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।
ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে ফারুক বলেন, “নতুন বছরকে কেন্দ্র করে অনেকেই ফানুস ওড়ান। আমরা এটা ওড়াতে নিষেধ করছি, কারণ এটার কারণে অনেক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। এটা কেউ ওড়ালে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
কোথাও কোনো ধরনের আতশবাজি কিংবা পটকা ফোটানো যাবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান, সমাবেশ, কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কিংবা ডিজে পার্টি আয়োজন করা যাবে না জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, “তবে ইনডোরে করা যাবে।”
শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরের দিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর সব বার বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে বলে জানান গোলাম ফারুক। তিনি বলেন, বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ ও উৎসবস্থলে লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্রও বহন করা যাবে না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সন্ধ্যা ৬টার পরে বহিরাগত কোনো ব্যক্তি বা যানবাহন প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে ডিএমপি কমিশনার জানান। রাত ৮টার মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশ করার অনুরোধও করেন তিনি।
বিনোদন কেন্দ্র হাতিরঝিল এলাকায় হৈ হুল্লোড়, সীমা অতিক্রম করে গাড়ি চালানো, মোটর সাইকেলে রেস করা যাবে না জানিয়ে তিনি বলেন, “এর ব্যতয় ঘটলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় রাত ৮টার পর বহিরাগতদের প্রবেশ না করতেও বলেন ডিএমপি কমিশনার। এসব এলাকায় বসবাসরতদের নির্ধারিত সময়ের পর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ (কাকলী ক্রসিং) এবং মহাখালী ক্রসিং ব্যবহার করার অনুরোধ জানান তিনি।