‘আমি জানিই না বিপিএলে কীভাবে আমার নাম নথিভুক্ত হলো। আমি অবাক হচ্ছি এই ভেবে যে, টুর্নামেন্টের একটা দল আমাকে নিয়ে নিল অথচ আমার কাছে কোনো খবরই নেই’- এ মন্তব্য করে রীতিমতো বাংলাদেশ ক্রিকেট মহলে বড়সড় এক নাড়া দিয়েছিলেন ক্যারিবীয় দানব ক্রিস গেইল।
কারণ তাকে বিপিএলের বিজ্ঞাপন বললেও অত্যুক্তি হবে না। টুর্নামেন্টের সবচেয়ে আকর্ষণীয়, অন্যতম সফল পারফরমার ক্রিস গেইল যে বরাবরই বিপিএলের শীর্ষ তারকা। বিপিএলের সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি, সবচেয়ে কম বলে শতক, সবচেয়ে কম বলে অর্ধশতক- সব কৃতিত্বই এ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওপেনারের।
এবারও প্লেয়ার্স ড্রাফটে প্রথম ডাকেই তাকে নিয়েছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। কিন্তু পরে জানা গেল, গেইল নাকি জানেনই না যে, তার নাম ছিল বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফটে। এ সম্পর্কে তাকে উদ্ধৃত করে সংবাদও প্রকাশিত হয়েছে।
শুধু তাই নয়, তাকে নিয়ে রীতিমতো অনেক জল ঘোলা হয়েছে। বলা হয়েছে, গেইল বিশ্রামে থাকার কথা ভাবছেন। তাই অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ না খেলে বিশ্রামে থাকবেন। বিপিএল খেলার নাকি চিন্তাই তার ছিল না। তার সঙ্গে নাকি কোনো রকম যোগাযোগ না করেই বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফটে নাম দেয়া হয়েছিল।
এমন খবরের পর নানা রকম গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে ধরেই নিয়েছিলেন, তাহলে এবারের মতো হয়তো গেইল উপাখ্যান শেষ। এ ক্যারিবীয় জীবন্ত কিংবদন্তিকে আর বিপিএলে দেখা যাবে না।
তবে বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন অবশ্য আনুষ্ঠানিকভাবেই জানিয়েছিলেন, না না। গেইলের সঙ্গে সরাসরি না হলেও নিয়মনীতি ও প্রক্রিয়া মেনে তার এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করেই গেইলকে প্লেয়ার্স ড্রাফটে রাখা হয়েছিল। গেইলকে যারা নিয়েছিল, সেই চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সও গেইলের এজেন্টের সাথে কথা বলেছে।
তারই ধারাবাহিকতায় আজ (শনিবার) বিকেলে মিললো বড় খবর! আগে যাই শোনা যাক, এখনকার খবর, গেইল বিপিএল খেলতে রাজি। তবে শুরু থেকে নয়, এমনকি ৪ জানুয়ারির আগেও নয়। চট্টগ্রামের টিম ডিরেক্টর জালাল ইউনুস আজ বিকেলে এ চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন।
জালাল ইউনুস জানিয়েছেন, ‘আমি নিজেই গেইলের এজেন্টের সাথে কথা বলেছি। গেইল এখন হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির শিকার হয়ে সাময়িক বিশ্রামে। ৪ জানুয়ারির আগে তার মাঠে ফেরার সম্ভাবনা নেই। গেইলের এজেন্ট জানিয়েছে ৪ জানুয়ারির পর গেইল মাঠে ফিরতে পারবে এবং বিপিএল খেলতে রাজিও আছে।’
এখন চট্টগ্রাম ততদিন পর্যন্ত গেইলকে পেতে অপেক্ষা করবে কি না? সেটাই আসল কথা। আপনারা কি তারপরও গেইলকে পেতে চাইবেন? মানে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন?
জালাল ইউনুসের জবাব, ‘আমরা হিসেব কষে দেখেছি ৪ জানুয়ারির পর আমাদের তিনটি ম্যাচ বাকি থাকবে। আর আমরা যদি শেষ চারে থাকতে পারি, তাহলে ফাইনাল ধরে থাকবে আরও তিন ম্যাচ। তার মানে গেইলকে পেতে হলে ঐ ৬ ম্যাচের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা, শেষ চারে থাকাটা জরুরী হয়ে দেখা দেবে। শেষ চারে যেতে পারলে গেইলের জন্য শেষ অবধি অপেক্ষায় থেকে তাকে পেতে চাইবে যে কোন দলই। আমরাও ভেবে দেখছি কি করা যায়?’
চট্টগ্রামের ডিরেক্টর নিশ্চিত করে বলতে পারেননি, তারা শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন কি করবেন না? তবে গেইলকে নেবেন না, এমন কথাও বের হয়নি তার মুখ থেকে। বলেছেন, দেখি কী করা যায়?