এমনটা ঢাকাই সিনেমার ইতিহাসে আগে কখনো হয়নি, যেটা করে দেখিয়েছেন আরিফিন শুভ। কী করেছেন?
এক সিনেমার শুটে যাওয়ার আগে নয় মাস সময় দিয়েছেন, সময় দিয়েছেন বললে অবিচার করা হবে; দিনরাত এক করে পরিশ্রম করেছেন।
সেটা কতটা? সিনেমা মুক্তির আগে এই পরিশ্রমের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন নায়ক, সেটায় চোখ বুলিয়ে নিলে ঠাওর করা যাবে পরিশ্রম সম্পর্কে। এর বাইরে শুভ জানিয়েছে, সেই নয় মাস সুনিদিষ্ট একই খাবার নিয়মিত গ্রহণ করতে হয়েছে তাঁকে।
ফলাফল বাংলা সিনেমা প্রথমবার দেখেছে মেইড ইন বাংলাদেশ সিক্স প্যাক। যা এ দেশের দর্শক এতদিন টম ক্রুজ, হিউ জ্যাকম্যান, হেনরি ক্যাভিল, ঋত্বিক রোশন, শাহরুখ, আমিরদের দেখেছেন আর আফসোস করেছেন, ‘ইস! আমাদের কোনো নায়ক যদি এমন করতে পারতেন…।’
আরিফিন শুভ বাংলাদেশের দর্শকদের সেই হতাশা দূর করেছেন। ‘ব্ল্যাক ওয়ার’ সিনেমায় দর্শকদের শুভুর এই সিক্স প্যাক দেখতে অপেক্ষা করতে হয়েছে শেষ দৃশ্যের জন্য। তবে যারাই দেখেছেন তাঁরা হতাশ হননি মেইড ইন বাংলাদেশ সিক্স প্যাকে।
বাজেট স্বল্পতা ও নানবিধি জটিলতার মাঝে শুভ তাঁর দর্শকদের ওই বিদেশি নায়কদের মতই সিক্স প্যাক অ্যাকশন করে দেখিয়েছেন। এই অবধি কোনো দর্শককে এই বলে হতাশ হতে শোনা যাইনি এই বলে যে, না আমির-শাহরুখদের মত সিক্স প্যাক হয়নি!
সিক্স প্যাক তো দেখালেন শুভ। অভিনয়? সিনেমা দেখে বের হওয়া দর্শকরা বলছেন, পুরো সিনেমা জুড়ে অভিনয়ে বুঁদ করে রেখেছিলেন শুভ। সংলাপ ডেলিভারি, চোখের অভিব্যক্তি, মনোজের সঙ্গে ডিবেটে সিনেমার সব আলো কেড়েছেন এই নায়ক।
অন্তর্জালে দর্শকরা সে কারণেই লিখছেন, আরিফিন শুভ ছাড়া ‘নাবিদ আল শাহরিয়ার’ কেউ হতে পারতো না।
আরিফিন শুভর বাইরে এই সিনেমায় নজর কেড়েছেন অল্প উপস্থিতির ফজলুর রহমান বাবু, সাদিয়া নাবিলা ও তাসকিন রহমান। মঈনুল আহসান নোবেলের গাওয়া ‘মা’ গান ও ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক প্রশংসার অন্যতম দাবিদার।
সিনেমাটির আইটেম গান ও অতিরিক্ত বিজ্ঞাপনে মন খারাপ হতে পারে দর্শকদের। এটাও মনে হতে পারে, ‘মিশন এক্সট্রিম’ ও ‘ব্ল্যাক ওয়ার’ দুই পার্টে মুক্তি না দিয়ে একটি সিনেমা হিসাবে মুক্তি দিলে দেশের অ্যাকশন সিনেমায় ভিন্ন মাত্রা যুক্ত করতে পারতো।