স্পোর্টস ডেস্ক :
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে লিটন দাসের হাত ধরেই দেখা মিলেছে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে দেশের দ্রুততম ফিফটির নজির। ১৮ বলে ৫০ করায় ভেঙেছে ১৬ বছর আগে ২০ বলে দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি করা মোহাম্মদ আশরাফুলের রেকর্ড। নিজের রেকর্ড হাতছাড়া হওয়াতে বিন্দুমাত্র আফসোস নেই সর্বকনিষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরিয়ানের।
যতই সময় গড়াচ্ছে ততই যেন ভয়ানক হয়ে উঠছে ওপেনার লিটন কুমার দাস। প্রতিনিয়তই গড়ছেন একের পর এক রেকর্ড। ছাড়িয়ে যাচ্ছেন নিজেকেও। গতকাল বুধবার (২৯ মার্চ) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ৪১ বলে ৮৩ রানের ইনিংসে মুগ্ধ ভক্ত-সমর্থকরা। এমন ঝড়ো ইনিংস নজর এড়ায়নি ক্রিকেটার মোহাম্মদ আশরাফুলের।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) মিরপুরে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে লিটন প্রসঙ্গে আশরাফুল বলেন, ‘রেকর্ড তো ভাঙার জন্যই। প্রায় ১৬ বছর এই রেকর্ড টিকে ছিল। রেকর্ড থাকলে অবশ্যই ভালো লাগে। নিজের নাম সবার ওপরে দেখতে ভালো লাগে। ২০০৭ সালে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ছিল। এটা তখন বিশ্বরেকর্ড ছিল। তার ৭ দিন পর যুবরাজ সিং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১২ বলে ফিফটি করেন।’
শুধু টি-টোয়েন্টিতে নয় টেস্ট ও ওয়ানডে ক্রিকেটেও বাংলাদেশের দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ড এখনও আশরাফুলের দখলে। আশরাফুল ২০০৭ সালে টেস্টে ভারতের বিপক্ষে ২৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। তাছাড়া ২০০৫ সালে নেটওয়েস্ট ট্রফিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তার ২১ বলে করা হাফ সেঞ্চুরিটি ওয়ানডেতে বাংলাদেশের দ্রুততম।
তবে আশরাফুলের মতে, টি-টোয়েন্টির মতো বাকি দুই ফরম্যাটেও লিটন বাকি দুটি রেকর্ডও নিজের করে নেবেন। এখন টেস্ট ও ওয়ানডেতে দুটো রেকর্ড আছে (দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি)। আশা করি, এই দুটিও লিটন ভাঙবে। যেভাবে সে খেলছে, বাকি দুই ফরম্যাটেও দ্রুততম অর্ধশতক তারই হবে আশা করি। লিটন সফল হচ্ছে, আমার ভালো লাগছে।’
লিটনের ব্যাটিং নিয়ে আশরাফুল আরও বলেন, ‘লিটনের ইনিংস নিয়ে তো বলার কিছু নেই। গত ২-৩ বছর ধরে অসাধারণ খেলছে। সব ফরম্যাটে ভালো করছে, বিশেষ করে টেস্টে যেভাবে পঞ্চাশেরও বেশি গড় নিয়ে খেলছে। এখন বাকি দুই ফরম্যাটে হাই স্ট্রাইক রেটে খেলছে। যেটা আমরা সব সময় দেখতে চাই। লিটনের ব্যাটিং দেখতে মজা লাগে। ক্লাস প্লেয়ার, ওয়ার্ল্ড ক্লাস ব্যাটার। আশা করবো, এর ধারাবাহিকতা সে ধরে রাখবে।’