বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

শ্রীলঙ্কাকে গুঁড়িয়ে স্বর্ণ জিতলেন সৌম্য-শান্তরা

শ্রীলঙ্কাকে গুঁড়িয়ে স্বর্ণ জিতলেন সৌম্য-শান্তরা

স্পোর্টস ডেস্ক:

সব সংশয় দূর করে, সকল অনিশ্চয়তার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে এসএ গেমস ক্রিকেটে মেয়েদের পর স্বর্ণ জয় করলো বাংলাদেশের পুরুষ ক্রিকেটাররাও। এই তো ২৪ ঘন্টা আগে গ্রুপপর্বে শ্রীলঙ্কার কাছে ৯ উইকেটের শোচনীয় পরাজয় রীতিমত ভাবিয়ে তুলেছিল।

রাজ্যের শঙ্কা এসে ভর করেছিল। মনে হচ্ছিল স্বর্ণপদক বুঝি ‘সোনার হরিণ’ হয়েই থাকবে। বার বার মনে হচ্ছিল ভারত আর পাকিস্তান নেই, তারপরও এস এ গেমস ক্রিকেটে স্বর্ণ থাকবে অধরা? রৌপ্য পদক নিয়েই ফিরবেন শান্ত, সাইফ, সৌম্য, আফিফ-রাব্বিরা?কিন্তু শেষ পর্যন্ত সব সংশয় ও শঙ্কা দূর করে ফাইনালে অন্য এক বাংলাদেশ। যে দলটির কাছে গ্রুপপর্বে বিধ্বস্ত হয়েছিল, সেই দলটিকেই ১২ বল আর ৭ উইকেট হাতে রেখে উড়িয়ে দিয়েছেন সৌম্য-শান্তরা।

নেপালের কির্তিপুর ত্রিভুবন ইউনিভার্সিটি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট গ্রাউন্ডে স্বর্ণ জয়ের লড়াইয়ে অবশ্য জয়ের ভিতটা গড়ে দিয়েছেন বোলাররাই। শ্রীলঙ্কাকে ২০ ওভারে ১২২ রানেই গুটিয়ে দেন হাসান মাহমুদ-তানভীর ইসলামরা।

টস জিতে লঙ্কানদের প্রথমে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ব্যাট করতে নেমে দুই লঙ্কান ওপেনার কিন্তু কিছুটা ভয়ই ধরিয়ে দিয়েছিল। ২৮ বলে ৩৬ রানের জুটি গড়ে ফেলেছিলেন তারা।

SMOYA

পঞ্চম ওভারে সুমন খানের বলে ওপেনার নিশান মধুশাঙ্কা ফার্নান্দো ১৬ রানে আউট হয়ে যান আফিফ হোসেন ধ্রুবর হাতে ক্যাচ দিয়ে। পাথুম নিসাঙ্কা আউট হন ২৪ বলে ২২ রান করে। সর্বোচ্চ ২৫ রান করেন মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান শাম্মু আসান। ১২ রান আসে অধিনায়ক চারিথ আসালঙ্কার ব্যাট থেকে।

বাংলাদেশের হয়ে ৪ ওভারে ২০ রান খরচায় ৩টি উইকেট নেন হাসান মাহমুদ। তানভির ইসলাম নেন ২ উইকেট। আর ৪ ওভারে মাত্র ১৬ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন পেসার সুমন খান।জবাব দিতে নেমে বেশ দেখেশুনে এগোতে থাকেন দুই ওপেনার সৌম্য সরকার আর সাইফ হাসান। ৪৭ বলে তারা গড়েন ৪৪ রানের জুটি। ২৮ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ২৭ রান করে সৌম্য হন মেন্ডিসের শিকার।

এরপর রানআউটের কবলে পড়েন ঝড়ো ব্যাটিং করতে থাকা সাইফ হাসান। ৩০ বলে ৩ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ৩৩ রান করেন ডানহাতি এই ওপেনার।

ঝড় তুলতে চেয়েছিলেন ইয়াসির শাহও। দলের রান একশ পার হবার পর ১৬ বলে ১টি করে চার ছক্কায় ১৯ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন তিনি।

কিন্তু অধিনায়কের মতোই খেলেছেন শান্ত। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দলকে একেবারে জয়ের বন্দর পর্যন্ত নিয়ে গেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। ২৮ বলে ২ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। আফিফ হোসেন সঙ্গে ছিলেন ৫ রানে।

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech