আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। এরপরই নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের মুখোমুখি হবে কলকাতা নাইট রাইডার্স। এই ম্যাচের আগে কলকাতার একাদশ কেমন হবে সেটা নিয়ে হচ্ছে আলোচনা।
কারণ, এই ম্যাচের আগেই নতুন করে দুই বিদেশি তারকাকে পেয়েছে কলকাতা। একজন হলেন বাংলাদেশ থেকে যাওয়া লিটন দাস, আরেকজন হলেন ইংলিশ তারকা জেসন রয়। দুজনেই খেলেন ওপেনিং পজিশনে। একই জায়গায় আবার খেলছেন আফগান তারকা রহমনউল্লাহ গুরবাজকে। তাই আলোচনা হওয়াটা স্বাভাবিক। তবে ম্যাচের আগে ভারতের সাবেক ক্রিকেটার বীরেন্দর শেবাগ জানালেন, গুরবাজকে সরিয়ে লিটনকে খেলানো ঠিক হবে না।
ক্রিকবাজের ম্যাচ–পূর্ববর্তী অনুষ্ঠানে সাবেক এই ক্রিকেটার বলেছেন, ‘আমার মতে, এ মুহূর্তে গুরবাজের জায়গায় লিটনকে খেলানো ঠিক হবে না। আগে গুরবাজকে অন্তত ৭ ম্যাচ দেখা উচিত। এরপর সুযোগ থাকলে বাকি ম্যাচে লিটনকে সুযোগ দেওয়া উচিত।’
গুরবাজকে সরালেও সেই জায়গায় লিটনকে দেখছেন না শেবাগ। বরং সেখানে রয়ের সম্ভাবনা দেখছেন তিনি। ভারতীয় তারকা বলেন, ‘গুরবাজের জায়গায় রয়কে নেওয়া যেতে পারে। কিংবা তাকে ইমপ্যাক্ট ক্রিকেটার হিসেবেও খেলানো যেতে পারে।’
সাধারণত জয়ের কম্বিনেশন ভাঙতে খুব কম দেখায় যায় যে কোনো দলকে। তাতে করে গুজরাটের বিপক্ষে জয়ী একাদশ নিয়েই কলকাতা মাঠে নামে কি না দেখার। যদিও একাদশে পরিবর্তন নিয়ে শোনা যাচ্ছে নানা কথা। কারণ, কলকাতা শিবিরে তৃতীয় ম্যাচের পরই যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশি তারকা লিটন দাস। যোগ দিয়েছেন আরেক ওপেনার জেসন রয়ও। এদের মধ্যে থেকে কাউকে খেলাতে হলে বাদ পড়তে হবে রহমনউল্লাহ গুরবাজকে।
যদিও আফগানিস্তানের উইকেটরক্ষক রান পাচ্ছেন। তিন ম্যাচে একটি অর্ধশতকসহ গুরবাজ করেছেন ৯৪ রান। সর্বোচ্চ ৫৭, স্ট্রাইক রেট ১৩০.৫৬। এখন তাঁকে বসিয়ে হঠাৎ লিটনকে খেলানোর ঝুঁকি কলকাতা নেবে কি না তা স্পষ্ট নয়। দু’জনকে একসঙ্গে খেলানোর সিদ্ধান্ত না নেওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। সে ক্ষেত্রে গুরবাজ, জেসন রয় অথবা লিটনের মধ্যে একজন ওপেন করবেন। তাঁর সঙ্গী হতে পারেন নারায়ণ জগদীশন। তিন নম্বর নামতে পারেন বেঙ্কটেশ আইয়ার। চারে দেখা যাবে অধিনায়ক নীতীশ রানাকে।
রিঙ্কু সিংহ যে ছন্দে রয়েছেন তাতে পাঁচ নম্বরে তাঁর খেলা নিশ্চিত। সঙ্গে থাকবেন আন্দ্রে রাসেল। তিনি অলরাউন্ডার হিসেবে খেলেন। তৃতীয় বিদেশি হিসাবে দলে অবশ্যই থাকবেন সুনিল নারিন।
নারিনের সঙ্গে স্পিন আক্রমণে থাকতে পারেন বরুণ চক্রবর্তী। পেস আক্রমণ সামলাতে পারেন শার্দূল ঠাকুর, লকি ফার্গুসন এবং উমেশ যাদব।