ডেস্ক রিপোর্ট :
টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে চিরতরেই হারিয়ে গেছে টাইটান নামের সাবমেরিনটি। সেই সাথে হারিয়ে গেছে পাঁচটি তাজা প্রাণও। টাইটান নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই এর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। এই সফরে টিকিট কেটেও ট্যুর বাতিল করা ব্রিটিশ ধনকুবের ক্রিস ব্রাউনের দাবি, টাইটানের নির্মাণ সামগ্রী ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ছিল খুবই দুর্বল। তার মতে, নড়বড়ে কম্পিউটার গেমের কন্ট্রোলারকে মডিফাই করে বানানো হয়েছিল টাইটানের নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র। আর এসব বিষয় দেখেই তিনি টাইটান সফর বাতিল করেন।
এবার ব্রাউনের সুরে সুর মিলিয়েছেন টাইটানিক সিনেমার পরিচালক জেমস ক্যামেরন। তিনি নিজেও সিনেমা নির্মাণের জন্য টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে ৩৩ বার আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে গিয়েছিলেন।
জেমস ক্যামেরনের মতে, টাইটান নির্মাণে অর্থ বাঁচানোর চেষ্টা ও প্রযুক্তিগত ত্রুটি দুই ছিল। যার পরিণামে এই বিপর্যয় ঘটেছে। তিনি বলেন, ‘আমি এটিতে ব্যবহৃত প্রযুক্তি নিয়ে বেশ সন্দিহান।’ তিনি আরো বলেছেন, যা কিছু হয়েছে তা আমি হাড়ে হাড়ে অনুভব করেছি। যখন ডুবোযানটির ইলেকট্রনিক্স, কমিউনিকেশন ব্যর্থ হয়েছে এবং একই সঙ্গে ট্র্যাকিং ট্রান্সপন্ডার ব্যর্থ হয়েছে। তখনই স্পষ্ট যে ডুবোযানটি আর নেই।’
টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে আগ্রহী পাঁচ আরোহী নিখোঁজের খবর প্রকাশ্যে আসার সময়ই তাদের মৃত্যু হতে যাচ্ছে বলে
নিজের ধারণার কথা জানিয়েছিলেন ক্যামেরন। তিনি বলেন, রবিবার একটি জাহাজে ছিলেন তিনি। টাইটান নিখোঁজ হওয়ার
খবর সোমবারও জানতে পারেননি তিনি। তবে পরে যখন জানতে পারলেন ডুবোযানটি যোগাযোগ ও নিজের গতিপথ হারিয়ে
ফেলেছে, তখনই ধারণা করেছিলেন দুর্ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার প্রথম টাইটানের মালিকানা প্রতিষ্ঠান ওশানগেট এক্সপেডিশন্স ডুবোযানে থাকা পাঁচ আরোহীর মৃত্যুর ঘোষণা দেয়। প্রথমে ডুবোযানটি বিস্ফোরণে ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কার কথা জানায় যুক্তরাষ্ট্রের কোস্ট গার্ড।