আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
টাইটানিকের ধ্বংসস্তূপ দেখতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া সাবমেরিন টাইটানে থাকা পাঁচজনের কেউ জীবিত নেই। বৃহস্পতিবার (২২ জুন) মার্কিন কোস্ট গার্ড জানায়, গভীর সমুদ্রে টাইটেনে অন্তর্মুখী বিস্ফোরণ ঘটলে তাদের মৃত্যু হয়। খবর এএফপির।
মার্কিন কোস্ট গার্ডের কর্মকর্তা রিয়ার অ্যাডমিরাল জন মাগার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা ধ্বংসস্তূপের যে চিত্র পেয়েছি, তা ভয়াবহ অন্তর্মুখী বিস্ফোরণের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’
এর আগে সাবমেরিনটি উদ্ধারে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়েছিল। সোমবার (১৯ জুন) মার্কিন কোস্ট গার্ড জানায়, তারা ২১ ফিট লম্বা সাবমেরিনটির খোঁজ করছে। পানির নিচে জিনিস খুঁজতে পারে কানাডার এমন একটি বিমান তাদের সাহায্য করছে। তারা টাইটানিকের ধ্বংসস্তূপের জায়গার আশপাশে অনেকখানি এলাকায় খোঁজ চালিয়েছেন। কিন্তু, কোনো সাবমেরিনের খোঁজ পাননি।
কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ওই পাঁচ যাত্রীকে নিয়ে সাবমেরিন রোববার (১৮ জুন) সকালে পানির নিচে যাত্রা শুরু করে। তার এক ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পর সাবমেরিনের সঙ্গে সব যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়।
টাইটান পরিচালনাকারী কোম্পানি ওশানগেটের পক্ষ থেকে বলা হয়, সাবমেরিনে পাঁচজনই সফর করতে পারেন। একজন ক্যাপ্টেন, একজন টাইটানিকবিষয়ক বিশেষজ্ঞ ও তিনজন যাত্রী। যাত্রীদের এই সফরের জন্য দুই লাখ ৫০ হাজার পাউন্ড দিতে হয়। এর আগেও অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের টাইটানিকের ধ্বংসস্তূপে নিয়ে গেছে এই সাবমেরিন।
আমিরাতভিত্তিক ব্রিটিশ ব্যবসায়ী হামিশ হার্ডিং নিখোঁজ সাবমেরিনে ছিলেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লিখেছিলেন, তিনি এই অভিযানে আছেন। তবে তিনি ওই পোস্টে খারাপ আবহাওয়ার কথাও লিখেছিলেন।