ডেস্ক রিপোর্ট :
মালয়েশিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় সেলানগর রাজ্যের ব্যস্ত রাস্তায় আজ বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) একটি হালকা বিমান বিধ্বস্ত হয়ে বিমানের আট আরোহী ও দুজন মোটর চালক নিহত হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ সূত্রের বরাতে এ সংবাদ দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
স্থানীয় পুলিশ প্রধান মোহামাদ ইকবাল ইব্রাহিম বলেন, ‘আমি এখন বলতে পারি যে, বিমান বিধ্বস্তের এই ঘটনায় কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়েছে। বিমানটির আট জন আরোহীর পাশাপাশি একজন প্রাইভেটকার চালক ও একজন মোটরসাইকেল আরোহী মারা গেছে।’
পুলিশ জানায়, জোহারি হারুন নামে পাহাং রাজ্যের একজন রাজসভা সদস্য এই দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।
মালয়েশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানায়, বিমানটি যখন বিধ্বস্ত হয় তখন সেটিতে ছয়জন যাত্রী ও দুজন ফ্লাইট ক্রু ছিলেন। তবে, তারা মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেনি।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের প্রধান নোরাজমান মাহমুদ জানান, বিমানটি উত্তরাঞ্চলীয় পর্যটন দ্বীপ লাঙ্কাউই থেকে দেশটির রাজধানী কুয়ালা লামপুরের পশ্চিমে সুলতান আব্দুল আজিজ শাহ বিমানবন্দরের দিকে যাচ্ছিল। তিনি বলেন, ‘বিমানটি থেকে কোনো জরুরি বার্তা বা মে ডে কল আসেনি।’
নোরাজমান মাহমুদ আরও জানান, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দেশটির বিমান দুর্ঘটনা তদন্ত ব্যুরো তদন্ত শুরু করবে।
মোহামাদ সায়ামি মোহামাদ হাশিম নামে মালয়েশিয়ার বিমান বাহিনীর একজন সাবেক সদস্য বলেন, ‘বিমানটি বিকট শব্দে বিধ্বস্ত হওয়ার শব্দ শুনতে পাওয়ার আগ পর্যন্ত আমি সেটিকে এলোমেলোভাবে উড়তে দেখেছি।’
হাশিম আরও বলেন, ‘শব্দের উৎস লক্ষ্য করে আমি দ্রুত এগিয়ে যাই এবং বিমানের ধ্বংসাবশেষ দেখতে পাই। আমি মানুষের গায়ে আগুন দেখতে পাই, তবে আমি তাদের জন্য কিছুই করতে পারিনি।’
আরেকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বিচক্রাফট ৩৯০ মডেলের বিমানটি মাটিতে পড়ার সাথে সাথে তাতে আগুন ধরে যায়। এই ঘটনাটি ঘটে শাহ আলম শহরের উপকন্ঠে এলমিনা এস্টেট এলাকায়। এই শহরটি আবাসিক ভবন ও শিল্পকারখানা অধ্যুষিত একটি মিশ্র এলাকা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এর (সাবেক টুইটার) একটি অ্যাকাউন্টে এ সম্পর্কিত একটি সংক্ষিপ্ত ভিডিও প্রকাশ হয়েছে। এতে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার স্থানটি থেকে আগুন ও কালো ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। পেছনে বাড়িঘরের ছবিসহ সেই স্থানটিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ধ্বংসাবশেষও দেখা যায় ভিডিওটিতে।