ডেস্ক রিপোর্ট :
চলতি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব শেষে একমাত্র অপরাজিত দল ভারত। ঘরের মাঠের বিশ্বকাপে ব্যাটে-বলে নিজেদের অপ্রতিরোধ্য করে তুলেছে দলটি। অন্যদিকে, নিউজিল্যান্ড টানা দুই বারের রানার্সআপ। গত দুই আসরে শিরোপার খুব কাছে গিয়েও ফিরতে হয়েছে খালি হাতে। ভারত সর্বশেষ শিরোপা জিতেছিল ২০১১ সালে, ঘরের মাঠেই। আরও একটি বিশ্বকাপের ফাইনাল হাতছানি দিয়ে ডাকছে দুই দলকে। আসরের প্রথম সেমি ফাইনালে আগামীকাল বুধবার (১৫ নভেম্বর) মুখোমুখি হবে ভারত-নিউজিল্যান্ড। মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটায়।
সূচি অনুযায়ী প্রথম সেমি ফাইনালে মুখোমুখি হবে পয়েন্ট টেবিলের প্রথম ও চতুর্থ দল। সে হিসেবে কাল মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে শীর্ষ দল ভারতের মোকাবিলা করবে কিউইরা। গ্রুপ পর্বে নয় ম্যাচের প্রতিটি জিতেছে ভারত। পূর্ণ ১৮ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে তারা। এদিকে নিউজিল্যান্ডের শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। টানা চার ম্যাচ জয়ের পর ছেদ পড়ে ধারায়। টানা চার ম্যাচ হারের পর শেষ ম্যাচ জেতে কিউইরা। ১০ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে থেকে নিশ্চিত করে সেমি ফাইনাল।
ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে আজ মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন বলেন, ‘এতটুকু আসতে পারা বিশেষ কিছু। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি সহজ হবে না। সব দলেরই নিজস্ব শক্তিমত্তা আছে। আমাদের দলও টুর্নামেন্টে দল হিসেবে ভালো করেছে। এখন আমাদের পুরো মনোযোগ কালকের ম্যাচের দিকে। এটি অনেক বড় ম্যাচ।’
ভারতের কোচ রাহুল দ্রাবিড় বলেন, ‘চ্যালেঞ্জের জন্য আমরা নিজেদের প্রস্তুত করছি। বিশ্বকাপের এই পর্যায়ে চ্যালেঞ্জটা বেশি। আমাদের ভক্তরাও দারুণ সমর্থন জুগিয়েছে। নয়টি ভিন্ন শহরে দর্শকদের ভালোবাসা পাওয়া অসামান্য ব্যাপার। আমরা চাই নিজেদের সেরাটা দিয়ে এগিয়ে যেতে। কালকের ম্যাচে খুব ভালো কিছু দেখাতে মুখিয়ে আছি।’
ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম পুরোদস্তুর ব্যাটিং উইকেট। আর ব্যাট হাতে ভারত-নিউজিল্যান্ড দুদলই আসরজুড়ে দেখিয়েছে চমৎকার প্রদর্শনী। তবে, কিউইদের জন্য চ্যালেঞ্জ হতে পারে ভারতের বোলিং লাইনআপ। অবশ্য লড়াইটা যখন সেমির মঞ্চে, তখন সেরাকে টপকেই সেরা হতে হবে।