স্পোর্টস ডেস্ক :
শেষ কয়েক ওভারের চাপ নিউজিল্যান্ডের কফিনে ঠুকছে শেষ পেরেক। পুরো ইনিংসে মিচেল—পাল্টা-আক্রমণ করেছেন। কিন্তু ৪৫.২ ওভারে শামির বলে তিনি কট আউট হন। এর মাধ্যমে নিউজিল্যান্ডের জয়ের আশা শেষ হয়ে যায়।
তৃতীয়বার ৫ উইকেট পেলেন ভারতের পেসার মোহাম্মদ শামি। তার সর্বশেষ শিকার ড্যারিল মিচেল। ৩৯৮ রানের লক্ষ্যে নিউজিল্যান্ডকে অসম্ভব এক আশা দিয়েছিলেন মিচেল। শামিকে তুলে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেতে ধরা পড়েন ১১৯ বলে ১৩৪ রান করে। এর মধ্য দিয়ে বিশ্বকাপে সপ্তম বোলার হিসেবে ৫০ উইকেট পেলেন শামি। পরে সাউদ এবং ফার্গুসন এর উইকেটও পান শামি।
টস থেকে শুরু করে প্রথম ইনিংসের শেষ পর্যন্ত—ওয়াংখেড়েতে প্রথম সেমিফাইনালে ভারতের পক্ষে গেছে সবকিছুই।
রোহিত শর্মা শুরুটা করেছিলেন। বিশ্বকাপে নকআউট পর্বেও ভারত অধিনায়ক দেখিয়েছেন, আসলেই ভয়ডরহীন ব্যাটিং করতে চায় তার দল। তিনি ফেরার পর সে ব্যাটন নিয়েছেন শুবমান গিল। তিনি সেঞ্চুরির দেখা পাননি, চোট নিয়ে উঠে যেতে হয়েছিল বলে। কোহলি পেয়েছেন, এরপর সেঞ্চুরি পেয়েছেন শ্রেয়াসও।
ওয়াংখেড়ের এ উইকেটে নিউজিল্যান্ড বোলাররা লাইন, লেংথ—খুঁজে পাননি কিছুই। ভারত গড়েছে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের ইতিহাসে রেকর্ড স্কোর। টানা তৃতীয় ফাইনালে যেতে নিউজিল্যান্ডকে ভাঙতে হতো ওয়ানডেতে তাদের ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড। এখন পর্যন্ত সেটি ৩৪৮ রানের, ২০২০ সালে ভারতের বিপক্ষেই ছিল সেটি।
এবার অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ৩৮৯ রানের লক্ষ্যে ৩৮৩ পর্যন্ত গিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। কিন্তু আজ করতে হতো তার চেয়েও বেশি ৩৯৮ রান। বিশ্বকাপের সেরা বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে ৩২৭ এ থামে নিউজিল্যান্ড। ভারত জিতল ৭০ রানে।