ডেস্ক রিপোর্ট :
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ভোটের মধ্য দিয়ে সরকার পরিবর্তন হবে। যে সমস্ত দল নির্বাচনে আসার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাদের সাধুবাদ জানাই, ধন্যবাদ জানাই। আর যাদের মানুষের ওপর আস্থা নেই, বিশ্বাস নেই, দল হিসেবে সুসংগঠিত না, তারাই নির্বাচন বানচালের একটা চেষ্টা করে যাচ্ছে।
আজ শনিবার (১৮ নভেম্বর) সকালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের মনোনয়ন ফরম বিতরণ কাজ উদ্বোধন করার পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজ থেকে আমরা মনোনয়ন ফরম বিক্রি ও জমা দেওয়া শুরু করেছি। যারা প্রার্থী তারা মনোনয়ন ফরম কিনবেন। আমাদের মনোনয়ন বোর্ডে যাচাই-বাছাই করে একজনকে মনোনয়ন দেবে। যোগ্য প্রার্থী অনেক, কিন্তু একজনকেই বেছে নিতে হবে। তৃণমূলসহ আমরা সবার মতামতের ভিত্তিতে মনোনয়ন দেব। সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে মনোনীত প্রার্থীকে জয়ী করতে কাজ করব।’
আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এমন একটি সংগঠন, যে সংগঠনের জন্ম হয়েছিল দুঃখী মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নের কথা চিন্তা করে। শোষিত-বঞ্চিত মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করার জন্য, ১৯৪৯ সালে এই সংগঠনের জন্ম। জন্মলগ্ন থেকে আওয়ামী লীগ তার গঠনতন্ত্র মেনে চলে, দেশের সংবিধান মেনে চলে, প্রতিটি কাজ অত্যন্ত সুচারুভাবে করে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজ যারা পার্টি থেকে প্রার্থী হবেন তারা এখান থেকে ফরম সংগ্রহ করবেন। তাদের জন্য আমরা আট বিভাগের দশটি বুথ তৈরি করে দিয়েছি। জাতীয় সংসদ সদস্যদের যে নম্বর থাকে বা সিরিয়াল থাকে, সেই সিরিয়াল অনুযায়ী ফরমগুলো সাজানো হবে। এভাবে প্রসেস করে মনোনয়ন বোর্ডে সেগুলো উপস্থাপন করা হবে। সংসদীয় বোর্ডের মাধ্যমে প্রার্থীর যোগ্যতা দেখে, তাদের জনপ্রিয়তা দেখে, তাদের কার্যক্রম বিবেচনা করে আমরা মনোনয়ন দিয়ে থাকি। আওয়ামী লীগ সব সময় সুসংগঠিতভাবে কাজ করে থাকে।’
আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘২০১৩-১৪ সালে আমরা দেখেছি নির্বাচন ঠেকানোর নামে বহু মানুষকে অগ্নিসন্ত্রাস করে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। এটা কোন ধরনের রাজনীতি? আমরা চাই জনগণের ভোটের অধিকার অব্যাহত থাকবে। ভোটের মধ্য দিয়ে সরকার পরিবর্তন হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতাকে হত্যা করার পর আমরা দেখেছি রাতের অন্ধকারে বন্দুক নিয়ে ক্ষমতা দখলের পালা চলছিল। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে, বৈধতা দেওয়ার জন্য জনগণের ভোট নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে আমরা সংগ্রাম করেছি, আন্দোলন করেছি, আমাদের বহু নেতা কর্মী জীবন দিয়েছে, নির্যাতিত হয়েছে। কিন্তু আমরা জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি। ২০০৯ থেকে এ পর্যন্ত গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত আছে বলে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নতি হয়েছে।’
এদিকে দলের সভাপতি বের হয়ে যাওয়ার পর সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় মনোনয়নপত্র বিক্রির কাজ। মনোনয়নপত্র বিক্রি ও জমা দেওয়ার কার্যক্রম চলবে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত। মনোনয়নপত্র বিক্রির জন্য আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দোতলা ও তিনতলায় মোট ১০টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। জমা দেওয়ার জন্য নিচতলায় একটি বুথ রয়েছে।