ডেস্ক রিপোর্ট :
তালিকায় থাকা ব্যক্তিরা কারাগারে কিংবা বিদেশে থাকলেও পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন। নির্বাচন কমিশন থেকে এই পদ্ধতিতে কারা, কোন প্রক্রিয়ায় ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন তা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
নির্বাচন কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. শরিফুল আলম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ২৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, যাদের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত আছে এরূপ ব্যক্তিরা পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে পারবেন। পরে তিনটি ক্যাটাগরির ভোটারদের কথা ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
পোস্টাল ব্যালটে যারা ভোট দিতে পারবেন
১. কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশের কোনো জেলখানায় বা অন্য কোনো আইনগত হেফাজতে আটক থাকলে
২. কোনো ব্যক্তি তিনি যে ভোট কেন্দ্রে ভোট প্রদানের অধিকারী সেই কেন্দ্র ব্যতীত অন্য কোনো ভোট কেন্দ্রে নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো দায়িত্ব পালনের জন্য নিযুক্ত থাকলে
৩. বিদেশে বসবাসরত কোনো বাংলাদেশি ভোটার।
যেভাবে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেওয়া যাবে
তিন ক্যাটাগরিতে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এইরূপ ভোট প্রদানের অধিকারী কোনো ব্যক্তি পোস্টাল ব্যালটে ভোট প্রদানে ইচ্ছুক হলে নিম্নবর্ণিত পদ্ধতিতে ভোট প্রদান করতে পারবেন। তা হলো—
১. নির্বাচনের তফসিল ঘোষিত হওয়ার তারিখ হতে ১৫ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের কাছে আবেদন করতে হবে।
২. ব্যক্তি যে নির্বাচনি এলাকার ভোটার, সেই এলাকার রিটার্নিং অফিসারের কাছে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার উদ্দেশে একটি ব্যালট পেপারের জন্য আবেদন করবেন এবং অনুরূপ প্রত্যেক আবেদনে ভোটারের নাম, ঠিকানা এবং ভোটার তালিকায় তার ক্রমিক নম্বর সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকবে।
৩. রিটার্নিং কর্মকর্তা কোনো ভোটারের আবেদন প্রাপ্তির পর অনতিবিলম্বে ওই ভোটারের কাছে ডাকযোগে একটি পোস্টাল ব্যালট পেপার এবং একটি খাম পাঠাবেন, যে খামের ওপর তারিখ প্রদর্শন করে সার্টিফিকেট অব পোস্টিংয়ের একটি ফরম থাকবে, যা ভোটার কর্তৃক ডাকে প্রদানের সময় ডাকঘরের উপযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীর মাধ্যমে পূরণ করা হবে।
৪. কোনো ভোটার পোস্টাল ব্যালটে ভোট প্রদানের জন্য তার ব্যালট পেপার প্রাপ্তির পর, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, তার ভোট রেকর্ড করার পর ব্যালট পেপারটি তার কাছে পাঠানো খামে ন্যূনতম বিলম্বের মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে ডাকযোগে পাঠাবেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রাপ্ত ব্যালটের ফলাফল মূল ফলাফলের সঙ্গে যোগ করে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করবেন। এ বিষয়ে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস বা হাইকমিশনগুলো প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবে