দর্শক খরায় ভুগছিল এবারের বিপিএল। প্রথম দুই দিন গ্যালারির বড় অংশই ছিল খালি। যে শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়াম দর্শকদের গগণবিদারি চিৎকার, মুহুর্মুহু করতালিতে মুখর থাকে- এবার প্রথম দুই দিন তা ছিল রীতিমত ঠাণ্ডা। শেরে বাংলার চিরচেনা রুপ, কোলাহল, হৈচৈ, শোরগোল কিছুই ছিল না।
দেখার বিষয় ছিল, শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সে দর্শক খরা কাটে কি না? হোম অফ ক্রিকেট আবার ক্রিকেট অনুরাগির সরব উপস্থিতিতে প্রাণচাঞ্চল্যে ভরে ওঠে কি না?
আজ (শুক্রবার) ছুটির দিনে গ্যালারি কানায় কানায় ভরে না উঠলেও প্রথম দু’দিনের তুলনায় দর্শক বেড়েছে বহুলাংশে। পূর্ব দিকে সাধারণ গ্যালারি, তার দুই পাশের নর্থ ও সাউথ স্ট্যান্ড দুটিতেও প্রথম দু’দিনের তুলনায় অনেক ক্রিকেট অনুরাগির উপস্থিতি চোখে পড়েছে।
দুপুরে সিলেট থান্ডার্স আর রাজশাহী রয়্যালস খেলা শুরুর ঘন্টা দেড়েক আগে থেকেই টিকিট কাউন্টারে ক্রিকেট অনুরাগিদের আনাগোনা। খেলা শুরুর আগে যেহেতু জুমার নামাজ ছিল, তাই আসল ভিড়টা বাড়ে জুমার নামাজের পর থেকে। ঘড়ির কাঁটা দুপুর ২টা স্পর্শ করতেই সাধারণ গ্যালারির গেটে ভিড় চোখে পড়ে। তারপর যত সময় গড়িয়েছে, ততই ভিড় বেড়েছে।
এদিকে ক্রিকেটাররা যাতে জুমার নামাজ আদায় করে তারপর খেলতে মাঠে নামতে পারেন, সেই কথা চিন্তা করে আগের মতই বিসিবির নির্ধারিত জুমার নামাজের জামাত ১৫ মিনিট এগিয়ে ১টা ১৫ মিনিটে করা হয়। ক্রিকেটারদের অনেকেই জুমার নামাজ অদায় করে তারপর মাঠে নামেন খেলতে।
বেলা ৩টায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় শেরে বাংলার সাধারণ গ্যালারি আর উত্তর ও দক্ষিণ স্ট্যান্ডে প্রাণের ছোয়া। সব মিলে হাজার চারেক দর্শক ঐ জায়গায়। টিকিটের মূল্য একটু বেশি থাকলেও দর্শক উপস্থিতির অন্যতম বৃহৎ উপাদান হলো ভাল ক্রিকেট। বিশেষ করে হাই স্কোরিং গেম।
এখন পর্যন্ত খুব হাই স্কোরিং গেম না হলেও উইকেট অন্যবারের তুলনায় প্রথম থেকেই ভাল মনে হচ্ছে। ব্যাটসম্যানরা বড় ও দীর্ঘ ইনিংস খেলতে পারেননি। তবে পিচ মোটামুটি ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি। খেলতে পারলে ভাল খেলা যাচ্ছে। শটস খেলতে গিয়ে নাভিশ্বাষ উঠছে না। চার ও ছক্কার মোটামুটি ফুলঝুরিও ছুটছে। গাঁটের পয়সা খরচ করে ছুটির দিনে দর্শক এসেছেন মাঠে। দেখা যাক, তাদের মাঠে আসা কতটা স্বার্থক হয় আজ?