স্পোর্টস ডেস্ক :
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল আছে চমৎকার ছন্দে। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচের আগে বাংলাদেশ অধিনায়ক রাব্বি বলেছিলেন, আমাদের আরও উন্নতি করতে হবে। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং—তিন বিভাগেই প্রয়োজন উন্নতি। দলনেতার কথাতে উদ্দীপ্ত হয়েই কি না নেপালের বিপক্ষে জ্বলে উঠলেন বোলাররা। বর্ষণ ও জীবন মিলে একাই তুলে নিলেন সাত উইকেট। প্রতিপক্ষকে থামিয়ে দিলেন অল্প রানে।
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে সুপার সিক্সের ম্যাচে বাংলাদেশের মুখোমুখি হয়েছে নেপাল। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্লুমফন্টেইনের মাঙাউং ওভালে সুপার সিক্সের গ্রুপ ওয়ানে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলছে বাংলাদেশ। বাংলার যুবাদের বিপক্ষে আজ বুধবার (৩১ জানুয়ারি) টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেয় নেপাল। ৪৯.৫ ওভারে ১৪৯ রানে অলআউট হয় দলটি।
অধিনায়ক দেব খানাল ব্যাটিং নিলেও শুরুতেই উইকেট হারায় নেপাল। ওপেনার বিপিন রাওয়াল দলীয় ১৮ রানে সাজঘরে ফেরেন। মারুফ মৃধার বলে রিজওয়ানের ক্যাচে পরিণত হওয়ার আগে বিপিনের ব্যাট থেকে আসে মাত্র দুই রান। পরের দুই উইকেটও খুব দ্রুতই হারায় নেপাল। আরেক ওপেনার অর্জুন কুমালকে ১৪ রানে ফেরান রোহানাত বর্ষণ। ওয়ানডাউনে নামা আকাশ ত্রিপাঠি তিন রান করে ইকবাল হোসেন ইমনের শিকারে পরিণত হন।
দলীয় ২৯ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে নেপাল। সেখান থেকে দলকে একটু থিতু করেন অধিনায়ক দেব ও বিশাল বিক্রম। চতুর্থ উইকেটে ৬২ রানের জুটি গড়েন দুজন। ৯১ রানের সময় আউট হন দেব। জুটি ভাঙেন জিসান আলম। ৬০ বলে ৩৫ করা দেব তালুবন্দি হন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বির হাতে। অর্ধশতকের খুব কাছে গিয়ে থামেন বিশাল। ৪৮ রান করা এই ব্যাটারকে বোল্ড করেন বর্ষণ। তবে, তার ইনিংসটি ছিল ভীষণ ধীরগতির। ১০০ বলে ৪৮ করেন তিনি।
এরপর খুব একটা প্রতিরোধ গড়তে পারেননি দলের কেউ। গোটা ম্যাচে মাত্র চার নেপালি ব্যাটারের ইনিংস দুই অঙ্ক ছুঁয়েছে। শেষ দিকে সুবাস ভাণ্ডারির ৩৪বলে ১৮ রানের ইনিংসে নেপাল পায় ১৬৯ রানের সংগ্রহ।
বাংলাদেশের পক্ষে ৮.৫ ওভারে দুই মেডেনসহ ১৯ রান দিয়ে চার উইকেট শিকার করেন বর্ষণ। ৩৪ রানের বিনিময়ে তিন উইকেট পান জীবন।