ডেস্ক রিপোর্ট :
চিলির মধ্যাঞ্চলে কয়েকদিন ধরে চলা দাবানলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৩১ জনে দাঁড়িয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত পাঁচ দিনে তাদের মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত আরও ৩০০ জনের বেশি নিখোঁজ রয়েছেন।
ভালপারাইসোর এই দাবানলকে ২০১০ সালে ভূমিকম্পের পর চিলির সবচেয়ে মারাত্মক বিপর্যয় বলে মনে করা হচ্ছে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বোরিক অঞ্চল পরিদর্শনের সময় বলেন, ‘২০২৩ প্যান আমেরিকান গেমসের জন্য ব্যবহৃত আসবাবপত্র ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। সরকার ৯ হাজার ২০০ ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির পানির বিলও মওকুফ করবে।’
গত শুক্রবার ভিনা দেল মারের পূর্ব প্রান্তের পাহাড়ি অঞ্চলে দাবানলের সূত্রপাত হয়। শুষ্ক আবহাওয়া ও প্রবল বাতাসে দাবানল দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় কুইলপে ও ভিলা আলেমানা নামের অপর দুটি শহরেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় ভিনা দেল মার ফেস্টিভালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে।
চিলির ফরেনসিক মেডিকেল সার্ভিস জানায়, দাবানল থেকে উদ্ধার করা অনেক মৃতদেহের অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে। তাদের পরিচয় শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে ফরেনসিক কর্মীরা নিখোঁজ স্বজনদের কাছ থেকে জেনেটিক নমুনা সংগ্রহ করবেন।
দাবানলের পর জাতিসংঘ এক বিবৃতিতে সমবেদনা জানিয়েছে ও সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে। এ ছাড়া এক্স (সাবেক টুইট) বার্তায় বোরিক বিপর্যয়ের পর ‘গুরুত্বপূর্ণ সহায়তার’ জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।