স্পোর্টস ডেস্ক :
বাংলাদেশের জন্য ম্যাচটি সিরিজে টিকে থাকার। শ্রীলঙ্কার লক্ষ্য পরিষ্কার। ম্যাচ জিতে সিরিজ নিজেদের করে নেওয়ার। এমন পরিস্থিতিতে আজও সিলেটের ব্যাটিং পিচে ভালো সংগ্রহ গড়েছে লঙ্কানরা। বাংলাদেশি বোলাররা শুরুটা দারুণ করলেও সেটি ধরে রাখতে পারেনি। তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয়টিতে জিততে স্বাগতিকদের চাই ১৬৬ রান।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান তোলে শ্রীলঙ্কা।
টস জিতে এদিনও আগে বোলিং নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে ঠিক প্রমাণ করেন শরিফুল ইসলাম। প্রথম ওভারেই নেন মেডেন। দ্বিতীয় ওভারে ব্রেক থ্রু এনে দেন তাসকিন আহমেদ। স্কোরবোর্ডে এক রান তুলতেই উইকেট হারায় লঙ্কানরা। নিজের বলে আভিস্কা ফার্নান্দোকে ফিরতি ক্যাচ বানিয়ে মাঠছাড়া করেন ডানহাতি পেসার। রানের খাতা খুলতে পারেননি লঙ্কান ওপেনার।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে কুশল মেন্ডিস ও কামিন্দু মেন্ডিস মিলে ৬৬ রান তোলেন। প্রথম তিন ওভারে স্রেফ আট রানের পরের তিন ওভারে দুজন নেন ৪১ রান। সেই জুটি ভেঙে বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি ফেরান সৌম্য সরকার। ২২ বলে ৩৬ রান করে বিপজ্জনক হয়ে ওঠা কুশলকে আউট করে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান এই অলরাউন্ডার। পরের ওভারে আঘাত হানেন রিশাদ হোসেন। ক্রিজে থিতু হয়ে যাওয়া কামিন্দুকে রানআউটের ফাঁদে ফেলে বিদায় করে বাংলাদেশ। ২৭ বলে ৩৭ রান আসে কামিন্দুর ব্যাট থেকে।
দুই সেট ব্যাটারকে হারিয়ে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে যায় শ্রীলঙ্কা। এমন অবস্থাতেই আঘাত হানেন মুস্তাফিজুর রহমান। সাদিরা সামারাবিক্রমাকে ফিরতি ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে ফেরান। ১১ বলে সাত রানের বেশি করতে পারেননি সামারাবিক্রমা। খাদের কিনারা থেকে দলকে টেনে তোলেন অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কা। ১৪ বলে ২৮ রান করে আজও বাংলাদেশের জন্য হুমকি হয়ে উঠছিলেন তিনি। তবে, শেখ মেহেদির স্পিন বিষে বোল্ড হয়ে থামতে হয়ে তাকে।
শেষ দিকে ঝড় তোলেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। তাকে সঙ্গ দেন দাসুন শানাকা। ম্যাথুসের ২১ বলে ৩২ রানের অপরাজিত ইনিংস এবং শানাকার ১৮ বলে ২০ রানে ভর দিয়ে লঙ্কানরা পায় লড়াই করার পুঁজি।
বাংলাদেশের পক্ষে একটি করে উইকেট পান তাসকিন, শরিফুল, মুস্তাফিজ ও মেহেদি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
শ্রীলঙ্কা : ২০ ওভারে ১৬৫/৫ (ফার্নান্দো ০, কুশল ৩৬, কামিন্দু ৩৭, সাদিরা ৭, আসালাঙ্কা ২৮, ম্যাথুস ৩২*, শানাকা ২০*; শরিফুল ৪-১-২০-০, তাসকিন ৪-০-৩৮-১ , মেহেদি ৪-০-৩৯-১, মুস্তাফিজ ৪-০-৪২-১, রিশাদ ৩-০-২১-০, সৌম্য ১-০-৫-১)।