পাইলট প্রকল্পের আওতায় গতকাল মঙ্গলবার (১২ মার্চ) ছয়টি ট্রাক সাহায্যপণ্য নিয়ে ইসরায়েল থেকে সরাসরি সীমান্ত অতিক্রম করে গাজার উত্তরাঞ্চলে প্রবেশ করেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে। খবর এএফপির।
সাহায্য সংস্থাগুলো গত কয়েক সপ্তাহ ধরে অবরুদ্ধ গাজায় দুর্ভিক্ষের বিষয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে এবং জাতিসংঘ ভূখণ্ডটির উত্তর অংশে খাদ্য ও অন্যান্য মানবিক সাহায্যপণ্য পাঠাতে বিশেষ অসুবিধার কথা উল্লেখ করেছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দেওয়া তথ্য অনুসারে, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) ছয়টি ট্রাক নিরাপত্তা বেষ্টনীর ৯৬তম গেট দিয়ে গাজার উত্তর অংশে গতকাল প্রবেশ করেছে।
হামাসের অস্ত্রধারীরা যাতে সাহায্যপণ্যের নাগাল না পেতে পারে সেজন্য পাইলট প্রকল্পের আওতায় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। চালানটি গাজায় প্রবেশের আগে কেরেম শালোম নামক স্থানে পরিক্সা-নিরীক্ষা করা হয় বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। তারা আরও জানায়, পাইলট প্রকল্পের ফলাফল সম্পর্কে সরকারকে জানানো হবে।
হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর পর ইসরায়েল গাজায় সাহায্যপণ্য প্রবেশের বিষয়ে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে আসছে। দেশটি সাহায্যসামগ্রী পাঠানোর আগে সীমান্তের কেরেম শালোম ও নিটজারা এলাকায় সাহায্যপণ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা রেখেছে।
জাতিসংঘ এবং আরও কয়েকটি দেশ গাজার উত্তর অংশে বিমান থেকে সাহায্যপণ্য ফেলে আসছিল। তবে এভাবে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণকালে যথাযথভাবে প্যারাসুট না খোলায় পণ্য সামগ্রীর চাপায় বেশ কয়েকজন নিহত হয়। এরপর সমুদ্র পথে সাহায্যপণ্য পৌঁছাতে কাজ শুরু করে ইউরোপীয় দেশগুলো। গাজার সবচেয়ে নিকটবর্তী ইউরোপের দেশ সাইপ্রাস থেকে নতুন তৈরি এই মানবিক নৌ-করিডরের মাধ্যমে সাহায্যপণ্য বহনকারী জাহাজটি ইতোমধ্যে যাত্রা করেছে। তবে সাহায্যকর্মীরা জানিয়েছেন, স্থলপথে সাহায্যপণ্য পাঠানো অনেক বেশি কার্যকর বলে মনে করছেন তারা।
এদিকে সুস্পষ্টভাবে কোনো স্থল রুটের কথা উল্লেখ না করে ডব্লিউএফপি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, তারা মঙ্গলবার গাজা শহরে ২৫ হাজার মানুষের জন্য জরুরি খাদ্য সাহায্য সফলভাবে সরবরাহ করতে পেরেছে। ২০ ফেব্রয়ারির পর এটাই ছিল শহরটিতে পণ্যবাহী কোনো বহরের প্রবেশের ঘটনা।
এক্স বার্তায় ডব্লিউএফপি উল্লেখ করে, ‘দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে থাকা গাজাবাসীর জন্য প্রতিদিনই পণ্য পাঠানো দরকার। আর এই কাজে গাজার উত্তর অংশে সরাসরি পৌঁছানো যায়, এমন কিছু প্রবেশপথ আমাদের দরকার।’