ডেস্ক রিপোর্ট :
ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’র নাবিক পরিবারে চলছে চরম উৎকণ্ঠা। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে জাহাজটি জলদস্যুদের কবলে পড়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে নাবিকদের পরিবারের সদস্যরা ছুটে আসেন মালিক কর্তৃপক্ষ কবির গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চট্টগ্রামের প্রধান কার্যালয়ে। এসময় নাবিকদের মুক্তির বিষয়ে প্রচেষ্টার কথা পরিবার পরিজনকে জানান কর্মকর্তারা। সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে থাকা ২৩ নাবিকের মধ্যে ১৩ জনেরই বাড়ি চট্টগ্রামে।
কবির গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘এমভি আবদুল্লাহ’ জাহাজে থাকা সকল নাবিকের পরিবারের সাথে আমাদের যোগাযোগ হচ্ছে। নাবিকদের মুক্তির বিষয়ে আমাদের প্রচেষ্টার কথা তাদের জানিয়েছি। আমরা সর্বোচ্চ ভাবে চেষ্টা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে বন্দি নাবিকদের মুক্ত করার।’
বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘এরই মধ্যে আমরা জাহাজ মালিক কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। জলদস্যুরা জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার কিছুক্ষণ পরে নাবিকগণ পরিবার ও মালিকপক্ষের সাথে কথা বলেছে। তারা সবাই সুস্থ আছেন। আমরা সার্বক্ষণিক মালিক কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ রাখছি। যতটুকু জেনেছি এখনো জলদস্যুরা মালিক কর্তৃপক্ষের সাথে কোনো যোগাযোগ করেনি। সাধারণত জলদস্যুরা জাহাজকে বন্দরের নিকটবর্তী নিয়ে যায়। তারপর মালিক পক্ষের সাথে যোগাযোগ করে।’
জানা যায়, মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে কয়লা নিয়ে আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে যাওয়ার পথে জাহাজটি সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবল পড়ে। জাহাজে ২৩ নাবিক রয়েছে। যার মধ্যে ১৩ জনই হচ্ছেন চট্টগ্রামের বাসিন্দা। তারা হলেন- জাহাজের ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ, চিফ অফিসার মোহাম্মদ আতিকুল্লাহ খান, দ্বিতীয় কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী, তৃতীয় কর্মকর্তা মো. তারেকুল ইসলাম, চতুর্থ প্রকৌশলী তানভীর আহমদ, এবি মো. আসিফুর রহমান, এবি সাজ্জাদ হোসেন, ওএস আইনুল হক, অয়েলার মোহাম্মদ শামসউদ্দিন, ফায়ারম্যান মোশারফ হোসেন শাকিল, চিফ কুক মো. শফিকুল ইসলাম এবং জিএস মো. নূর উদ্দিন।