প্রথম ওয়ানডে জিতে বাংলাদেশ শিবিরে বইছে স্বস্তির সুবাতাস। এবার দ্বিতীয়টি জিতলেই সিরিজ পকেটে। সেই সুযোগটা আজই কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সিরিজ জয়ের আশা নিয়ে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয়টি আজ শুক্রবার (১৫ মার্চ) শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ।
চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ম্যাচটিতে লঙ্কানদের বিপক্ষে টসে হেরে আগে নেমেছে বাংলাদেশ। উইকেটের সুবিধা কাজে লাগাতে বোলিং বেছে নিয়েছে লঙ্কানরা।
বাংলাদেশের শক্তির মূল জায়গা ওয়ানডে। এই ফরম্যাটে দীর্ঘদিন ধরেই করছে উন্নতি। আর তা যদি হয় ঘরের মাঠে, তাহলে কথাই নেই। তার সঙ্গে বাড়তি পাওনা চট্টগ্রামের উইকেট। বাংলাদেশের জন্য বরাবরই যা সৌভাগ্যের প্রতীক। প্রথম ম্যাচে যার প্রমাণ দিয়েছেন ক্রিকেটাররা। বোলিং, ব্যাটিং দুই বিভাগেই নিজেদের যোগ্যতার ছাপ রেখেছেন তারা।
স্পিন নির্ভরতা কমিয়ে পেসারদের দিকে গত থেকেই ঝুঁকেছে বাংলাদেশ। পেয়েছে ইতিবাচক ফলও। গত ১৩ মার্চ লঙ্কানদের ৫০ ওভারের আগেই অলআউট করে বাংলাদেশ, যাতে ১০ উইকেটের ৯টিই নেন পেসাররা। তিন পেসার শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ ও তানজিম সাকিব—প্রত্যেকেই পান তিনটি করে উইকেট। ব্যাট হাতে টপ অর্ডার ভেঙে পড়লেও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত দলের দুই সিনিয়র ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে সহজেই পাড়ি দেন জয়ের পথ।
টপ অর্ডারে লিটন দাস ও সৌম্য সরকারের ফর্মহীনতা ভাবাচ্ছে বাংলাদেশকে। তবে, বরাবরের মতো শান্ত সতীর্থদের পাশে রইলেন। সর্বশেষ ম্যাচের পর তিনি বলেছিলেন, ‘নতুন বলে ব্যাটিং করাটা বেশ কঠিন ছিল। তা ছাড়া, লঙ্কান বোলাররা খুব সুইং করাচ্ছিল এবং বল উইকেটে রাখছিল।’
ম্যাচের আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বিসিবির দেওয়া এক ভিডিওবার্তায় বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ ডেভিড হ্যাম্প ক্রিকেটারদের মানসিকতার প্রশংসা করেছেন। বিশেষত, যেভাবে ব্যাটিং করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ, তা নজরে পড়েছে হ্যাম্পের। এর পাশাপাশি তিন জানালেন, সবাই দায়িত্ব নিয়ে খেললে সিরিজ জেতা অসম্ভব নয়।
হ্যাম্প বলেন, ‘আমরা গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই উন্নতি করছি। শেষ ম্যাচে ক্রিকেটাররা নিজেদের কাজ ঠিকঠাকভাবে করেছে। আগামী ম্যাচেও সেই আশা থাকবে তাদের ওপর। দায়িত্ব নিয়ে খেলতে পারলে সিরিজ জেতা অসম্ভব নয়। দলগত পারফরম্যান্স সবসময়ই টিমকে শক্তিশালী করে তোলে। খেলোয়াড়দেরও নিজেদের ওপর আস্থা আছে।’
বাংলাদেশ স্কোয়াড
নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), এনামুল হক বিজয়, লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাওহিদ হৃদয়, সৌম্য সরকার, রিশাদ হোসেন, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, তাইজুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব।