পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ক্ষমতাসীন দল আ’লীগের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সশস্ত্র হামলায় ছাত্র লীগ এবং শ্রমিক লীগের পাঁচ কর্মী ও সমর্থক আহত হয়েছে। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে কলাপাড়া পৌরশহরের কলাপট্টি এলাকা এবং হাসপাতাল চত্বরে এ হামলার ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় কলাপাড়া থানায় পৃথক দু’টি মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ মামলার এক আসামী কালা মামুন (২৮) কে গ্রেফতার করেছে।
আহতদের মধ্যে ছাত্রলীগের কর্মী মো. ইলিয়াস হাওলাদার (২৬) মো. পলাশ (১৯), মো. শাকিব (২০) এবং শ্রমিক লীগ কর্মী মো. ইদ্রিস মৃধা কে (৩৫) উন্নত জন্য বরিশাল শে.বা.চি.ম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে আহত সামো (১৯) ওরফে শান্তকে কলাপাড়া হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
আহতদের সূত্রে জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত শনিবার রাতে কলাপাড়া পৌর শহরের কলাপট্টি এলাকায় বসে ছাত্রলীগ কর্মী মো. আবির এবং মো. অমি গাজীসহ এক দল সশস্ত্র সন্ত্রাসী ধুলাসার ইউনিয়ন ছাত্রলীগ কর্মী মো. ইলিয়াস সহ তার সহযোগীদের এলোপাথারি ভাবে কোপায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এরপরই হাসপাতাল চত্বরে বসে ধুলাসার ইউনিয়ন শ্রমিক লীগ কর্মী মো. ইদ্রিস মৃধা মৃধা সহ তার সহযোগীদের ওপর সন্ত্রাসীরা সশস্ত্র হামলা চালায়। আহতদের কলাপাড়া হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় ইলিয়াস হাওলাদারের চাচা মো. জহিরুল ইসলাম বাদি হয়ে সন্ত্রাসী মো. আবির কে প্রধান আসামী করে ১৫ জনের বিরুদ্ধে এবং ইদ্রিস মৃধার ভাই মো. ইউনুচ মৃধা বাদি হয়ে আবিরকে প্রধান আসামী করে ১৯ জনের বিরুদ্ধে কলাপাড়া থানায় পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করে।
কলাপাড়া থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, মামলার অন্যতম আসামী কালা মামুন কে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।