ডেস্ক রিপোর্ট :
বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ’র নাবিক ও জাহাজকে মুক্ত করতে পুরনো অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাচ্ছে জাহাজ মালিক। অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে জলদস্যুদের সঙ্গে চলছে তাদের আলোচনা। এক্ষেত্রে তারা অনেকটা সফলও হয়েছে। জাহাজ মালিক কর্তৃপক্ষের দাবি, যে কোনো সময়ই জিম্মিদশা থেকে মুক্ত হতে পারে নাবিক ও জাহাজ।
২০১০ সালের নভেম্বর মাসে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়ে এসআর শিপিং কর্পোরেশনের আরেকটি জাহাজ ‘এমভি জাহান মনি’। ওই সময় ২৬ নাবিক ছিল বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজটিতে। তিন মাস পর মুক্ত হয়ে জাহাজটি সোমালিয়া থেকে ওমানের সালালা বন্দরে যায়।
কবির গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের মিডিয়া উপদেষ্ঠা মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘এমভি জাহান মনির অভিজ্ঞতা এমভি আবদুল্লাহ’র ক্ষেত্রে কাজে লাগছে। দস্যুদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলমান রয়েছে। আশা করছি, দ্রুত ভালো খবর দিতে পারব।’
জানা যায়, ভারত মহাসাগর থেকে এমভি আবদুল্লাহ ছিনতাই হওয়ার আট দিনের মাথায় দস্যুদের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়। এ আলোচনা এখন প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে। দ্রুততার সঙ্গে আলোচনা শুরুর টনিক হিসেবে কাজ করেছে জাহাজ মালিক কর্তৃপক্ষের পুরনো অভিজ্ঞতা। এমভি জাহান মনির জিম্মিদশার সময় তৈরি হওয়া সম্পর্কগুলো কাজে লাগানো হয় এমবি আবদুল্লাহ’র ক্ষেত্রেও। ওই সময়ের লবিগুলোর কেউ কেউ কাজ করছে আবদুল্লাহ মুক্ত করতে। ফলে দ্রুততার সঙ্গে অগ্রগতি হচ্ছে দস্যুদের সঙ্গে আলোচনার।
প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতো থেকে কয়লা নিয়ে আবার আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে যাওয়ার পথে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’। জাহাজে ২৩ নাবিক রয়েছেন। যাদের সবাই বাংলাদেশি। জলদস্যুদের কবলে পড়া জাহাজটি চট্টগ্রামভিত্তিক শিল্পগোষ্ঠী কবির গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং কর্পোরেশনের। জাহাজটি সাধারণ পণ্য পরিবহন করে। ২০ মার্চ দুপুরে জলদস্যুদের প্রথম ফোন পায় মালিকপক্ষ।