ডেস্ক রিপোর্ট :
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া গুলশানের বাসা ফিরোজায় ঈদ উদযাপন করেছেন। বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) সকালে ছোট ভাই শামীম এস্কান্দারসহ কয়েকজন কাছের আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে ঈদের সময় কাটান।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার জানান, সকাল থেকেই ম্যাডামের আত্মীয়-স্বজনরা দেখা-সাক্ষাৎ করতে আসেন। বিকেলে লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও বিএনপি চেয়ারপারসনের ছেলে তারেক রহমান এবং তার সহধর্মিণী ডা. জোবায়দা রহমান ভার্চ্যুয়ালি তার সঙ্গে কথা বলেন। রাতে দলের সিনিয়র নেতারা ঈদের সালাম জানাতে আসেন।
বিগত কয়েক বছর তিনি ঈদে বাসার বাইরে বের হতে পারছেন না। এমনকি পরিবারের সদস্যদের নিয়েও ঈদ উদযাপন করার সুযোগ পাচ্ছেন না। বন্দি থেকে গৃহবন্দি অবস্থায় রয়েছেন সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এবারসহ ১৫টি ঈদ কেটেছে জেলে ও গৃহবন্দী অবস্থায় তার।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যাওয়ার পর থেকে ৭৯ বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার চারটি ঈদ কারাগারে, ১টি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে, এভারকেয়ারে ১টি ঈদ এবং বাসায় গৃহবন্দি অবস্থায় ৬টি ঈদ কেটেছে। ২০১৭ সালের ২৬ জুন চীন মৈত্রী হলে সর্বশেষ ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এই নেত্রী। এর আগে ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে গ্রেফতার হয়ে দুইটি ঈদ চার দেয়ালের মধ্যেই কাটাতে হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে। তখন তিনি ছিলেন সংসদ ভবন এলাকার একটি ভবন যেটাকে সাবজেল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। সে সময় খালেদা জিয়ার মতো বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও দুইটি ঈদ কাটাতে হয়েছে বন্দী অবস্থায়।
দলটির নেতাকর্মী বলছেন, দীর্ঘ আট বছরেরও বেশি সময় পূর্ন স্বাধীন অবস্থায় ঈদ উদযাপনের বাইরে রয়েছেন তিনি। গৃহকর্মী ও পরিবারের কয়েকজন সদস্যদেরকে নিয়ে ঈদের দিন কাটে খালেদা জিয়ার।
খালেদা জিয়ার এবারের ঈদও কাটলো গুলশানের বাসায়। যদিও রাতে দলের মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাত ৮টার সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান এবং বেগম সেলিমা রহমান খালেদা জিয়ার গুলশানস্থ ফিরোজা বাসভবনে প্রবেশ করেন। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।