ডেস্ক রিপোর্ট :
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের যেসব আত্মীয়-স্বজন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি, তাদের ব্যাপারে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বুধবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, দলের যারা মন্ত্রী-এমপি পর্যায়ে আছেন, তাদের সন্তান ও স্বজনেরা যেন উপজেলা নির্বাচনে না আসেন—সেই নির্দেশনা রয়েছে।
কিন্তু অনেক সংসদ সদস্যের সন্তান ও স্বজনেরা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি, তাদের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “প্রথম পর্যায়ের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় চলে গেছে। কেউ কেউ বলেছেন- আমরা বিষয়টি আরও আগে অবহিত হলে সিদ্ধান্ত নিতে আমাদের সুবিধা হতো। এরপরও প্রত্যাহার কেউ কেউ করেছেন, কেউ কেউ করেননি। আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশনের যে সময়সীমা, তারপরও ইচ্ছা করলে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারতেন। তবে নির্বাচনের আগের দিন পর্যন্ত সুযোগ আছে।”
তিনি বলেন, দলীয় নির্দেশনা অমান্য করলে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে চিন্তা করা হবে। সময়মতো এ সিদ্ধান্ত অবশ্যই নেওয়া হবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও যারা দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করেছেন, তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, দল যার যার কর্মকাণ্ড বিচার করবে। চূড়ান্ত পর্যায় পর্যন্ত যাঁরা প্রত্যাহার করবে না, তাদের বিরুদ্ধে সময়মতো দল ব্যবস্থা নেবে।
দলের সিদ্ধান্ত মন্ত্রী-এমপিদের না মানা দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙে পড়ার লক্ষণ কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, “ভেঙে পড়তে পড়তে কোমর সোজা করে দাঁড়িয়ে আছি।”
এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।