বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি নিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক বক্তব্য থেকে বিএনপির শিক্ষা নেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশের যে উন্নতি, যে উচ্চতা তা দেখে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ লজ্জিত হোন। তিনি বলেছেন, তৎকালীন পাকিস্তানের যে অংশকে দেশটির নেতারা বোঝা মনে করতেন সেই বোঝা উন্নয়ন-অগ্রগতিতে অনেক এগিয়ে গেছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি যত মিথ্যাচার করে, সরকারের উন্নয়ন নিয়ে অপপ্রচার করে তাতে তাদের শাহবাজ শরিফের এ বক্তব্য থেকে প্রকৃত সত্য অনুধাবন ও শিক্ষা নেওয়ার অনেক কিছুই আছে। পাকিস্তান বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করে। আর বিএনপি দেশের উন্নয়ন দেখতে পায় না। দেশের উন্নয়ন নিয়ে হীন মনোবৃত্তির পরিচয় দিচ্ছে তারা। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে তাদের বাস্তবতাটা বোঝা উচিত।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আজকে কথায় কথায় তারা ডামি নির্বাচনের কথা বলে। কিন্তু বিএনপি গণতন্ত্র ও নির্বাচনে অকার্যকর হয়ে নিজেরাই ডামি রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। তারা মনে করেছিল, বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলে সরকার বৈধতা পাবে না। কিন্তু হয়েছে উল্টো। জাতীয় নির্বাচনের পর স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে ২৩১টি নির্বাচন হয়েছে। যেখানে ভোট পড়েছে ৬০ শতাংশ।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপিকে ছাড়াই দেশের গণতন্ত্র এবং নির্বাচন ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে। উপজেলা নির্বাচনও সুষ্ঠু হবে। এই নির্বাচনে বিএনপি’র কেউ অংশ নিলে তাতে সমর্থন কিংবা বিরোধিতা কোনোটাই করবে না আওয়ামী লীগ। বিএনপির ব্যাপার বিএনপিই দেখবে।’
উপজেলা নির্বাচনে দলীয় নির্দেশ অমান্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রার্থিতা প্রত্যাহারের এখনো সময় আছে। শেষ দিন পর্যন্ত দেখতে হবে। দলীয় নির্দেশ অমান্য করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা সময়মতো নেওয়া হবে।’
উপজেলা নির্বাচনে এমপিদের হস্তক্ষেপ এবং সহিংসতার আশঙ্কা করছে নির্বাচন কমিশন-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘সংঘাতের আশঙ্কা করতে পারেন। তবে সংঘাত যেন না হয় আমাদের প্রয়াস অব্যাহত আছে।’
এ সময় বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের সমালোচনা করেন সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘গাজায় ইসরাইল যে গণহত্যা চালাচ্ছে তা মানবাধিকারের কোন পর্যায়ে গেছে? প্রতিদিন সেখানে মানুষ মারছে। কারো কথারই তোয়াক্কা করছে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবও মানছে না। সেই যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে ইসরায়েলের জন্য তহবিলের অনুমোদন ইতোমধ্যে দেওয়া হয়েছে। তার মানে যুদ্ধের উস্কানিতে সহযোগিতা করছে। আগে তারা ইসরাইলের যে গণহত্যা, এ গণহত্যার ব্যাপারে মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে নিকৃষ্টতম নমুনা এর ব্যাপারে তারা তাদের অবস্থান পরিষ্কার করুক। তারপর অন্যদের হেদায়েত করুক।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দীসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।