ডেস্ক রিপোর্ট :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাই অত্যন্ত সাহসী এবং ভালো সংগঠক ছিলেন। আজ বৃহস্পতিবার (২ মে) শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে আমাদের জন্য দুঃখের দিন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন। প্রথম দিনই আমাদের শোক প্রস্তাব নিয়ে আসতে হলো। আমাদের মাননীয় সংসদ সদস্য আব্দুল হাই সাহেব যিনি বার বার ঝিনাইদহের মতো একটা প্রতিকূল জায়গায় নির্বাচিত হয়ে এই সংসদে এসেছেন। সরকার প্রধান বলেন, তার চিকিৎসার জন্য অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্য তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেল।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আব্দুল হাই স্কুল থেকে ছাত্রলীগ করতেন। জাতির পিতা যখন ছয়দফা দেন সেই আন্দোলন বাস্তবায়ন থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্রে তার অবদান রয়েছে। ছয় দফা শেষে জাতির পিতার বিরুদ্ধে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দেওয়া হয়। তখন আওয়ামীলীগের নেত্রীত্বে আন্দোলন গড়ে উঠে এবং গণ-অভ্যুত্থান সৃষ্টি হয়। যার ফলে সে মামলা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়। ছাত্রলীগের পরে ভিপি নির্বাচিত হন এবং ওখানকার কলেজ সংসদের ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। তা ছাড়া ছাত্রলীগের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। জাতির পিতা যখন মুক্তিযুদ্ধের ডাক দেন এবং স্বাধীনতা ঘোষণা দেন, তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, মুক্তিযুদ্ধ শেষে ফিরে আসার সময় তিনি (আব্দুল হাই) যুবলীগের আহ্বায়ক ছিলেন এবং যুবলীগের সংগঠনটা গড়ে তোলেন এবং যুবলীগের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমি আসার পর থেকেই সব সময় সক্রিয় পেয়েছি এবং ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, গ্রামের মানুষ টিকটে পারত না এবং সেখানে সব সময় অস্ত্রের ঝন-ঝনানি এবং বিএনপি নামে যে দলটি সৃষ্টি হয়েছিল এবং আন্ড্রারগাউন্ড পার্টির লোকজন সব বিএনপিই করত। কারণ, সেখানে প্রতিনিয়ত আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা হতো। কত লাশ যে পড়েছে তার হিসেব নেই। সেই অবস্থায় সংগঠনকে গড়ে তোলা এবং বারবার নির্বাচিত হয়ে আসা এটা বিরাট দক্ষতার পরিচয় তিনি দিয়েছেন। কারণ, মানুষের ভালোবাসা পেতেন, মানুষের কাছে যেতেন ও মানুষের সমর্থনটা তার ছিল। তাই অনেক চেষ্টা করেও তাকে নির্বাচন থেকে কেউ হারাতে পারেনি। যদিও নির্বাচন একসময় প্রহসন ছিল এবং ওই অবস্থার মধ্যে তিনি বারবার জিতে এসেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আব্দুল হাই শুধু রাজনীতি করেননি, ঝিনাইদহ শৈলকূপা এলাকায় উন্নয়ন করেছেন। ওই এলাকার নারীদের শিক্ষার জন্য তিনি সেখানে একটা মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন, নারী শিক্ষা সুযোগ সৃষ্টি করেন এবং এই কলেজ তিনি চালাচ্ছিলেন।