ডেস্ক রিপোর্ট :
সিলেটে করোনাকালে জনমনে উদ্বেগ-আতঙ্ক ছিল- কোনদিন কতজন মারা গেলেন এই প্রাণঘাতি ভাই ভাইরাসে। এখন করোনা নেই, সেই ভয়ও নেই। তবে আছে অন্য আতঙ্ক। ঘর থেকে হলেই যদি আকাশ থেকে ছুটে আসেন মৃত্যুদূত! বাড়ির উঠোনেই তো সেই ‘মৃত্যুদূত’ কাড়ছেন কারো প্রাণ।
এ বছর গ্রীষ্ম ও বর্ষা মৌসুমে সিলেটে বেশি বজ্রপাত হওয়ার আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদ ও বিশ্লেষকরা। এ আশঙ্কা সত্যি করে সিলেট বিভাগে গত কয়েক দিনে একরে পর একের এক বজ্রপাত কাড়ছে তাজা প্রাণ। গত দুই দিনে এ বিভাগে বজ্রপাতে মারা গেছেন ছয়জন। এলাকাবাসী এবং পুলিশ সূত্রে মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত করেছে।
আবহাওয়াবিদ ও বিশ্লেষকরা বলছেন, এবার তাপ বেশি হওয়ার কারণে বজ্রপাত বেশি হবে। আর একই সঙ্গে বর্ষাকালের দৈর্ঘ্য বেড়ে যাওয়ার কারণে বজ্রপাতের পরিমাণ বেশি হবে। অন্যদিকে বজ্র প্রতিরোধ ব্যবস্থার অপ্রতুলতা এবং অসচেতনতার কারণে মৃত্যুও বেশি হওয়ার আশঙ্কা আছে।
ডিজাস্টার ফোরাম বলছে, বালাদেশে বজ্রপাতে মৃত্যু এড়াতে আগাম সতর্কতা এবং আবহাওয়া বার্তা খুব জরুরি।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম পিয়ার-রিভিউ জার্নাল হেলিয়ন-এ ‘বাংলাদেশে বজ্রপাত পরিস্থিতির ওপর জিআইএস (জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম)-ভিত্তিক স্থানিক বিশ্লেষণ’ প্রবন্ধে বলা হয়েছে, বেশিরভাগ প্রাণহানি বর্ষা পূর্ববর্তী মৌসুম এবং বর্ষা ঋতুতে ঘটে, যার মধ্যে উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চল (সিলেট) সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশে আবহাওয়ার ধরণ ও বৈশিষ্ট্য ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে। যার ফলে দীর্ঘস্থায়ী তাপপ্রবাহ, শৈত্যপ্রবাহ এবং ঋতু পরিবর্তনের মতো ঘটনা ঘটছে। এ কারণেই বজ্রপাত বাড়ছে।