বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

ওরা বালু খেকো!

ওরা বালু খেকো!

লালমোহন প্রতিনিধি:
ভোলার লালমোহন উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের খালগোরা এলাকায় তেঁতুলিয়া নদী থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছে স্থানীয় আব্দুর রহমান, তছিব মামুন, আক্তার ও টুলু মেম্বারসহ কয়েকজন। যার কারণে হুমকির মুখে রয়েছে লঞ্চ ঘাট, কৃষকদের আবাদী জমি ও শতাধিক পরিবার।
সরেজমিনে দেখা যায়, ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে দিন দিন নদীর তীর পড়ছে ভাঙনের কবলে। এভাবে বালু উত্তোলন করতে থাকলে কিছুদিনের মধ্যে গজারিয়া লঞ্চ ঘাট ও ৮৬ নং চরসহ শতাধিক মানুষের আশ্রয়স্থল নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
নামপ্রকাশে অনইচ্ছুক কয়েকজন স্থানীয় জানান, আর বছর দুই এক যদি এভাবে বালু উত্তোলন করা হয় তাহলে তেঁতুলিয়া নদীর তীব্র ভাঙন দেখা দিবে। যার ফলে চর ভেঙে নদী মিশে যাবে বেড়িবাঁধের সাথে। নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে কৃষি জমি।
বেড়ীবাধের পাশে বসবাসরত নাম প্রকাশ না করা শর্তে কয়েকজন বলেন, বাপ-দাদার ভিটে মাটি হারিয়ে আশ্রয় নিয়েছি এই বেড়িবাঁধের পাশে। নদীতে স্থানীয় একটি মহল যেভাবে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন শুরু করেছে, তাতে খুব শিগগিরই নদী এসে বেড়িবাঁধের সাথে মিশে যাবে। তাই আমাদের বেঁচে থাকার তাগিদে এই অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করতে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ বালু উত্তোলনের ব্যাপারে অভিযুক্তদের মধ্যে আব্দুর রহমান নামের একজনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমার নদীতে কোনো ড্রেজার নেই। তবে অন্য লোকেরা নদী থেকে বালু উত্তোলন করে। আমি সেসব বালু ক্রয় করে বিক্রি করি।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল হাসান রুমি বলেন, কোনো মতেই কেউ নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করতে পারবে না। খুব শিগগিরই এসকল বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech