অশোক কুমার সাহা / চরফ্যাসন:
শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু বা বিশ^বন্ধু জাতিসংঘ অনুষ্ঠানিকভাবে উপাধি দিয়েছেন। জাতির পিতা,স্বাধীনতার ঘোষক হিসাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের উপকূলীয় এলাকাগুলো ঘুরে ঘূরে দেখেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩সালের ১৩ডিসেম্বর দুর্গত এলাকার ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা বিচ্ছিন্নদ্বীপ চর-কুকরি-মুকরি পরিদর্শন করেন। সেখানে সাধারণ মানুষের সাথে মেঠো পথে পায়ে হেটে ঘূণিঝড় উপদ্রুত এলাকা ঘুরে দেখেন। সেখান থেকে হেলিক্যাপ্টার যোগে অধ্যক্ষ মিয়া মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত চরফ্যাশন কলেজ মাঠে পদাপর্ণ করেন। সেখানে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভাষণে উপকূলীয় জনপদ চরফ্যাশন কলেজ উন্নয়নের কথা বলেন। উপকুলের এসে জানতে পারেন এই কলেজ প্রতিষ্ঠিত অধ্যক্ষ মিয়া মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম উপকূলের মানুষের পাশে থেকে ভাল কাজ করেন। বঙ্গবন্ধুর আর্দশ মানুষের কাছে বাই সাইকেল চালিয়ে গ্রাম গঞ্জে পৌছিয়ে দিচ্ছেন। তাঁর সেই কর্মপ্রেরণায় এই আসন থেকে অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম দু’বার সংসদস সদস্য নির্বাচিতও হয়েছেন। বঙ্গববন্ধুর সেই সফরের স্মৃতি আলোখ্যে চরফ্যাশন সরকারি কলেজের প্রতিষ্ঠিত মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার এবং ইতিহাস ও ঐতিহ্য কর্ণারে সংরক্ষিত আছে। চরফ্যাশন সরকারি কলেজ ২০১৯সালে কলেজ অধ্যক্ষ কয়ছর আহমেদ দুলালের পরিকল্পনায় কলেজ ক্যাম্পাসে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিবুর রহমান দৃষ্টি নন্দন প্রতিকৃতি স্থাপন করা হয়েছে। ২০১৯সালের ১৭মার্চ জাতীর জনকের ৯৯তম জম্মবার্ষিকীতে উক্ত প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্চালী নিবেদনের শুভ উদ্ধোধন করেন স্থানীয় জাতীয় সংসদ সদস্য,সাবেক উপমন্ত্রী আলহাজ¦ আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব। বরিশাল বিভাগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এই সর্ব প্রথম চরফ্যাশন সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধুর এই প্রতিকৃতি স্থাপন করা সবার নজর কাড়ছে। ১৫আগষ্ট কলেজ কর্তৃক আয়োজিত কর্মসূচীতে কলেজ ক্যাম্পাসে স্থাপীত প্রতিকৃতিতে সকল বিভাগ থেকে শ্রদ্ধাঞ্চালী প্রদান করা হয়। প্রতিকৃতির প্রদোদেশে বঙ্গবন্ধুর জীবন ভিত্তিক রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়দের মধ্যে পুরুস্কার বিতরন করা হয়েছে। অপরদিকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও উপজেলা প্রশাসন চত্তরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি নির্মাণ করা হয়। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো.জয়নাল আবেদিন আখন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.রুহুল আমিন বলেন বঙ্গবন্ধুর বিশেষ দিনগুলোতে পালন্বার্থে প্রশাসন চত্তরে এই ভাষ্কায স্থাপন করা হয়েছে।