বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার হাপানিয়া গ্রামের ভন্ড ফকির আব্দুল হালিমের বিরুদ্ধে এক নারী ভক্তকে ধর্ষন ও বিকৃত যৌনাচার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভন্ড ফকির হালিম ওই গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের পুত্র ও একটি ডিগ্রি কলেজের ইসলাম শিক্ষা বিভাগের প্রভাষক। বৃহস্পতিবার দুপুরে ধর্ষিতা ওই নারী নিজবাড়ীতে সাংবাদিকদের জানান, গত কয়েক বছর আগে আব্দুল হালিমের আস্তানায় তিনি যাতায়ত শুরু করেন। সেখানে যাওয়ার পর থেকে আব্দুল হালিম তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষন করে।
তিনি আরও জানান, রাত এগারটার দিকে লোক পাঠিয়ে হালিমের আস্তানায় তাকে ডেকে নেয়া হতো এবং রাত তিনটা পর্যন্ত হালিমের সাথে তার বিছানায় বিকৃত যৌনাচার ঘটাতো। গত কয়েক মাস আগে ওই নারী বিয়ের কথা বললে তাকে (ধর্ষিতা নারী) প্রভাষক হালিম জানায়, আস্তানায় এগুলোই চলে। আমার গুরুর নির্দেশে তোকে তোর সাথে ঘুমাইছি এখন আর ঘুমাবো না। একপর্যায়ে প্রভাষক হালিমকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়া হলে ওই নারীকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে মারধর করে তার আস্তানা থেকে তারিয়ে দেয়া হয়।
এবিষয়ে সাংবাদিকরা প্রভাষক হালিমের আস্তানার ছবি সংগ্রহ করতে গেলে তিনি বাধা প্রদান করে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেন। এবিষয়ে গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ওই কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি ইসরাত জাহান জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। একই কথা জানান, গৌরনদী মডেল থানার ওসি গোলাম ছরোয়ার। উল্লেখ্য গত, কয়েক বছর আগে হাপানিয়া গ্রামে মালেক তালুকদার নামের এক ব্যক্তি মৃত্যুবরন করলে তাকে পীর দাবী করে তার কবরের উপর মাজার তৈরি করেন প্রভাষক হালিমসহ একাধিক ব্যক্তিরা। পরবর্তীতে মাজারটি তিন ধারায় বিভক্ত হয়ে গেলে প্রভাষক হালিম নিজ বাড়ীতে আস্তানা তৈরি করে বিভিন্ন অসামাজিক কাজে লিপ্ত হয়। এনিয়ে কয়েকবার বিক্ষুব্দএলাকাবাসী হালিমের আস্তানা ভেঙ্গে দিলেও আবার নতুন ভাবে আস্তানা তৈরি করে বিভিন্ন অবৈধ কাজ চালিয়ে আসছে হালিম।