অশোক কুমার সাহা / চরফ্যাসন:
চরফ্যাসন আবদুল্যাহপুরের মোঃ সিরাজুল ইসলাম (৫০) ঢাকাতে তার সন্তানাদী ও স্ত্রীকে নিয়ে ভাল ভাবে দিন কাটছিল। গত ১৬ এপ্রিল /২০১৮আহত সিরাজুল ইসলাম কর্নফুলি ১৩ জাহাজ যোগে ঢাকা হতে বাড়ি ফেরেন। জাহাজ খানা বেতুয়া লঞ্চ ঘাটে পৌছার পর এই রুটের ফারহান ও তাসরিফ কোম্পানী জাহাজের আধিপত্য ও খাম খেয়ালী কারনে ২ পা হারান আওয়ামীলীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম। ঘাট সুত্রে ও জানা যায় ফারহান ও তাসরিফ অনেক দিন ধরে ঢাকা বেতুয়া রুটে তাদের জাহাজ চলছিল। ঘটনার দিন কার্নফুলী জাহাজ হতে যাত্রী নামছিল। অনেক পর ফারহান ও তাসরিফ জাহাজ ঘাটে ভিড়ার সময় ২ পাশ থেকে কর্নফুলী জাহাজকে আর্নি দিয়ে মারাতœক ভাবে আক্রমন করে। তাহাতে জাহাজে থাকা অনেক যাত্রীরা লাফ দিয়ে নদীতে ঝাাপিয়ে প্রান বাচায়। তাহাতে জাহাজে থাকা যাত্রীরা ও চরফ্যাসন বাজার ব্যবসায়ী অনেকে ঐ জাহাজে ছিল। উপস্থিত যাত্রী সিরাজুল ইসলাম জাহাজ থেকে নামার জন্য জাহাজের সামনে দাড়ানো ছিল। ফারহান ও তাসরিফ জাহাজের আনির্র ধাক্কায় কর্নফুলী জাহাজ খানা ভেঙ্গে যাওয়ায় সিরাজের ২ পা ভেঙ্গে যায়। তৎখনাৎ কর্নফুলী জাহাজ কর্তৃপক্ষ সিরাজুল ইসলামকে দ্রত চিকিৎসার জন্য চরফ্যাসন হাসপাতালে নিয়ে আসলে ডিউটিরত ডাক্তার সিরাজুল ইসলামকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার করে। তখন কর্নফুলী জাহাজ র্কতৃপক্ষ সামান্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় পরে আর খোজ নেয়নি। তাহাতে যাত্রীদের ক্ষোভের সৃস্টি হয়। বর্তমানে সিরাজুল ইসলাম ২ পা হারিয়ে পঙ্গুত্ব ভাবে জীবন যাপন করিতেছে। এদিকে সিরাজুল ইসলামের চিকিৎসার ব্যাপারে কোন জাহাজ কর্তৃপক্ষ তার উন্নত চিকিৎসার জন্য এগিয়ে আসেনি। আহত সিরাজুল ইসলাম আবেগ কন্ঠে বলেন তিনি আর কোন দিন সুস্থ্য ভাবে চলা ফেরা করতে পারবেনা ডাক্তার তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বলেন তাই আহত সিরাজুল ইসলাম সমাজের বিত্তবানদেন সহায়তা করার আহবান জানান।। তার মেয়ে সায়মা ও সাদিয়া আবেগ কন্ঠে বলেন তাদের পিতার অবস্থার কারনে তাদের লেখা পড়াব বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সায়মা অর্নাস ২ য় ও সাদিয়া অর্নাস ১ম বর্ষে লেখাপড়া করে। তাদের পিতার চিকিৎসার ব্যাপের যা সম্পদ ছিল বিক্রি করে দিয়েছে। তারা লেখা পড়া করবে কিভাবে। আহত সিরাজুল ইসলাম কে চরফ্যাসন মনপুররা জননন্দিত নেতা আলহাজ্ব আবদুল্যাহ আল ইসলাম জ্যাকব এম,পি মাঝে মধ্যে তার শারিরিক খোজ খবর নেন।