সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী গোপন বৈঠক করার অভিযোগে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বার্থী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতিসহ ১২ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাত ৯টায় উপজেলার বার্থী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. আমিনুল ইসলামের বাসা থেকে ১২ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নেতাকর্মীরা হলেন- বার্থী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. আমিনুল ইসলাম (৪৭), সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল গাজী (৫০), ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মন্টু খান (৪৫), বার্থী ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সহ-সম্পাদক কাইয়ুম খান (৩৮), ইউনিয়ন যুবদলকর্মী এনায়েত হোসেন (৩২), জাফর খান (৩৩), সাইফুল ইসলাম (৩০), রেজাউল মোল্লা (৩৪), সামিউল বেপারী (৩০), ইউনিয়ন ছাত্রদলকর্মী আকাশ খন্দকার (২৬), মুন্না আহম্মেদ (২৪) ও ইখতিয়ার তালুকদার (৩৬)।
গৌরনদী মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হক বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছেন। ওই মামলার আসামি হিসেবে তাদের আজ মঙ্গলবার আদালতে তোলার পর আদালতের নির্দেশে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। গৌরনদী থানার পরিদর্শক মো. হেলাল উদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বার্থী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘বাবার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয় কতিপয় কর্মীদের নিয়ে পরামর্শ করছিলাম। রাত সাড়ে ৮টার দিকে বার্থী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মামুন প্যাদার নেতৃত্বে ৫০ থেকে ৬০ জন বাড়িতে হামলা চালায়। তারা আমাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে সাত জনকে আহত করেছে। পরে ১২ জনকে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দিয়েছে।’
বার্থী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মামুন প্যাদা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি। মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।’