ডেস্ক রিপোর্ট :
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় নিহত ৩৪ জনের পরিবার সাক্ষাৎ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে। এ সময় তাদের সান্ত্বনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাকে দেখেন, স্বজন হারানোর শোক নিয়ে আমিও বেঁচে আছি। আমি আপনাদের পাশে আছি, খুনের সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
দেশের বিভিন্ন স্থানে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ছিলেন রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ও কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম নেতা আবু সাঈদের পরিবারও। এ সময় গণভবনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল উপস্থিত ছিলেন।
এসময় অশ্রুসজল প্রধানমন্ত্রী তাদের সান্ত্বনা দিয়ে বলেন, আমি আপনাদের বেদনা বুঝি। আমাকে প্রতিনিয়ত বাপ-মা-ভাই হারানোর বেদনা নিয়ে চলতে হয়। বাপ-মায়ের লাশটাও দেখতে পারিনি, দেশে ফিরতে পারিনি। ৬ বছর পর দেশে এসেছি। তারপর যখন এসেছি সারা দেশ ঘুরেছি। কারণ আমার বাবা বলত, দুঃখি মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে হবে। আমি সেই কাজটাই করার চেষ্টা করছি। বাবা-মা ভাই হারানো আমি আপনাদের মতোই একজন। কাজেই আপনাদের কষ্ট আমি বুঝি। আমি আপনাদের পাশে আছি। আমার চেষ্টা থাকবে এই খুনের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের খুঁজে খুঁজে বের করে শাস্তির ব্যবস্থা করা।
নিহতদের পরিবারের সদস্যরা শেখ হাসিনার কাছে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীও আবেগ সংবরণ করতে ব্যর্থ হন। নিহতদের পরিবারের সদস্যদের কথা শুনে প্রধানমন্ত্রীর অশ্রু গড়িয়ে পড়ে। অশ্রুসিক্ত প্রধানমন্ত্রী তাদের সান্ত্বনা দিয়ে বলেন, ‘আমাকে দেখেন, আমি অনেক কষ্ট নিয়ে বেঁচে আছি।’ তাদের পাশে আছেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তাদের মতো স্বজন হারানোর বেদনা তিনিও বহন করছেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি আপনাদের ব্যথা বুঝতে পারছি। এটা আমার দুর্ভাগ্য যে আমাকে আপনাদের অশ্রু দেখতে হচ্ছে।’