২০ হাজার ইয়াবাসহ বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী মাকসুদুল আলম নান্টুকে (৪২) গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে নান্টুর সহযোগী ইমদাদুল হক রাজন কাজীকেও (২২) গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতার মাকসুদুল আলম নান্টু সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের ডিঙ্গামানিক গ্রামের মৃত গাজী আব্দুল মান্নানের ছেলে ও ইমদাদুল হক রাজন কাজী ঝালকাঠীর কাঁঠালিয়া উপজেলার আওড়াবুনিয়া গ্রামের কাজী মো. শাহীনের ছেলে।
বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে নগরীর আমতলা মোড় সংলগ্ন পুলিশ কমিশনারের অস্থায়ী কার্যালয়ের হলরুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেন, মাকসুদুল আলম নান্টু দীর্ঘদিন পুলিশের নজরদারিতে ছিল। বিষয়টি জেনে আত্মগোপন করেছিল নান্টু। সম্প্রতি নান্টু আবার এলাকায় ফিরে আসে। অবস্থান নিশ্চিত হয়ে মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের ডিঙ্গামানিক গ্রামের বাড়ি থেকে নান্টুকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় ছয় হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
নান্টুর দেয়া তথ্য অনুযায়ী নগরীর জর্ডান রোডে অপর ইয়াবা ব্যবসায়ী সজল ও জাহিদের বাসায় অভিযান চালিয়ে আরও ১৪ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, সজল ও জাহিদ শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী নান্টুর সহযোগী। তারা অভিযানের আগেই সেখান থেকে পালিয়ে যায়। ওই বাসা থেকে ইমদাদুল হক রাজন কাজী নামে আরেক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার হয়। এ ঘটনায় বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
পুলিশ কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান বলেন, সম্প্রতি ইয়াবার অনেক বড় চালান বরিশালে এনেছিল নান্টু। অভিযানের আগেই বড় অংশ ছড়িয়ে যায়। এরপরও ২০ হাজার উদ্ধার করা হয়েছে। এটিই বরিশালে আটক ইয়াবার সবচেয়ে বড় চালান।
তিনি বলেন, সমুদ্রপথে বরগুনায় ইয়াবা আসে। এরপর সেখান থেকে ইয়াবার চালান বরিশালে আসে। এ মাদক ব্যবসার অর্থ ও যোগানদাতা হিসেবে একটি বড় চক্র রয়েছে। তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।