শামীম আহমেদ: বরিশাল নদী বন্দরের পল্টুনে নোঙ্গরে থাকা বরিশাল- মজুচেীধূরী রুটের যাত্রীবাহী এমভি চন্দ্রদীপ নামের একটি লঞ্চ আগুনে পুড়ে গেছে।
হতাহতের কোন ঘটনা না ঘটলেও প্রায় ১ ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের দুই ইউনিটের সদস্যরা।
এরআগে শুক্রবার (১০ এপ্রিল) ভোর আনুমানিক সাড়ে ৫ টার দিকে ঘটে এ ঘটনা।
লঞ্চের স্টাফরা জানান, এমভি চন্দ্রদীপ নামের লঞ্চটি বরিশাল থেকে পাতারহাট হয়ে মজুচৌধুরীর হাট রুটে যাতায়াত করতো। করোনার সংক্রমন রোধে নৌযান চলাচল বন্ধ হওয়ার পর থেকে বরিশাল নদী বন্দরের পল্টুনে এ লঞ্চটিকে নোঙ্গর করে রাখা হয়। ২-৩ জন স্টাফ লঞ্চটি দেখভাল করতেন।
ফজরের নামাজ পড়তে স্টাফরা লঞ্চের বাহিরে যায় এবং নামাজ শেষে ফিরে লঞ্চে আগুন দেখতে পান বলে জানান স্টাফরা।
এ অগ্নিকান্ডে বড় হতাহতের কোন ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়ে বরিশাল সদর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দল্লাহ আল মামুন জানায়, মশার কয়েল অথবা সিগারেটের আগুন থেকে লঞ্চটিতে আগুন লেগে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে।
এদিকে ফায়ার সার্ভিসের সহকারি পরিচালক আক্তারুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে প্রায় ঘন্টাখানিকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন।তবে কিভাবে আগুনের সূত্রপাত হলো সেটি তদন্ত ছাড়া নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
তিনি জানান, আগুনে লঞ্চের স্টিলের কাঠামো ছাড়া বাকি সবকিছু পুড়ে গেছে। এদিকে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান তাৎক্ষনিকভাবে জানাতে পারেনি কেউ। অল্পের জন্য পাশে থাকা অন্যান্য লঞ্চগুলো আগুন থেকে রক্ষা পায়।
এদিকে বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলের লঞ্চ লেবার এসোসিয়েশনের সভাপতি মাস্টার আবুল হোসেন বলেন যেভাবে লঞ্চটি অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাতে পুনরায় লঞ্চটি সার্ভিসে চলতে হলে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তিনি সুষ্ঠ তদন্তের দাবী জানান।