বরিশাল জেলা প্রশাসনের নিয়মিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজও বরিশাল নগরীতে মোবাইল কোর্ট অভিযান অব্যাহত আছে। আজ ১৫ এপ্রিল বুধবার সকাল থেকে বরিশাল মহানগরীর বাজার রোড,ভাটিখানা বাজার ,কাঠপট্টি, সদর রোড, পোর্ট রোড, চকবাজার রোড, বগুড়া রোড, নতুন বাজার ও আমতলার মোড়, সাগরদী, রুপাতলী, শের-ই-বাংলা মেডিকেলে, চাঁদমারী রোড, চকবাজার, লাইন রোড, চৌমাথা ,বটতলা বাজার, নথুল্লাবাদ এলাকায় জেলা প্রশাসন বরিশাল এর পক্ষ থেকে মোবাইল কোর্ট এর অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযান চলাকালে জনসমাগম করে অপ্রয়োজনীয় দোকান খোলা রেখে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বরিশাল জেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে ৫ টি দোকান এবং দুই জন ব্যক্তি কে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অাদায় করা হয়।
নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অধিক মানুষের সমাগম এবং চায়ের দোকানসহ অপ্রয়োজনীয় দোকান খোলা রাখা থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা পালনের পাশাপাশি গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এস, এম, অজিয়র রহমানের নির্দেশনায় মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয় বরিশাল মোঃ নাজমূল হুদা এবং এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আতাউর রাব্বী।
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে গণসচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি এ সময় বিভিন্ন টি-স্টল, মুদি দোকান ও এলাকার মোড়ে মোড়ে যেখানেই জনসমাগম দেখা গেছে তা ছত্রভঙ্গ করা হয় এবং নিরাপদ দূরত্বে চলার নির্দেশনা, মাক্স পরার নির্দেশনা প্রদানের পাশাপাশি জেলা প্রশাসন এর পক্ষ থেকে মাক্স বিতরণ করা হয়।
এসময় সবাইকে যৌক্তিক প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে আসতে নিষেধ করা হয় এবং সন্ধ্যা ৬ টার মধ্যে জরুরি ঔষধ ব্যতীত সকল প্রকার দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করা হয়। এসময় মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনায় করেন বরিশাল জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নাজমূল হুদা।
এসময় নগরীর বাজার রোড এলাকায় জনসমাগম করে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত না করে অপ্রয়োজনীয় দোকান খোলা রাখা অপরাধে দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ২৬৯ ধারা মোতাবেক গোপাল সাহা কে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ভাটিখানা এলাকায় একটি স্বর্ণাকারের দোকান খোলা রেখে জনসমাগম করার অপরাধে একই আইনে ২ হাজার টাকা এবং একটি বিউটি পার্লার খোলা রেখে জনসমাগম করার অপরাধে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। অপ্রয়োজনে মোটরসাইকেল দিয়ে ঘোরাঘুরি করায় দুই ব্যক্তিকে একই আইনে ৫০০ টাকা করে মোট ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
কাঠপট্টি এলাকায় একটি ইলেকট্রনিক দোকান খোলা রেখে অধিক জনসমাগম করায় রশিদ নামের এক ব্যক্তি কে একই আইনে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। প্রসিকিউসন অফিসার হিসাবে সহযোগিতা করেন স্যানিটারি অফিসার মোঃ জাকির হোসেন। এসময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সহযোগিতা করেন এস আই জয়ন্ত সহ মেট্রোপলিটন পুলিশ এর একটি টিম। অপরদিকে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেন বরিশাল জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আতাউর রাব্বী।
অভিযান পরিচালনা কালে এ সময় বিভিন্ন টি-স্টল, মুদি দোকান ও এলাকার মোড়ে মোড়ে যেখানেই জনসমাগম দেখা গেছে সেখানে হ্যান্ড মাইক ব্যবহার করে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা হয় করা হয় এবং নিরাপদ দূরত্বে চলার নির্দেশনা প্রদান করা হয়। পাশাপাশি সবাইকে যৌক্তিক প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। এসময় একটি অপ্রয়োজনীয় দোকান খোলা রেখে জনসমাগম করার অপরাধে দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ২৬৯ ধারা মোতাবেক দোকান মালিককে ৫০০ টাকা জরিমানা অাদায় করা হয়।
এ সময় অাইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সহযোগীতা করেন র্যাব-৮ এর একটি টিম। অভিযান শেষে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদ্বয় বলেন, জনগণকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা এবং করোনা ভাইরাসের বিস্তার এবং এটিকে পুঁজি করে অসাধু ব্যবসায়ীদের বাজার অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা রোধকল্পে জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এস, এম, অজিয়র রহমান সদা সচেষ্ট এবং তাঁর নির্দেশনায় নিয়মিত এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।