আজ ৩ মে, মুক্ত গণমাধ্যম দিবস, প্রতিবছর এ দিনটিতে বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি আয়োজন করে নানা আয়োজন। এ বছর করোনা পরিস্থিতির কারনে এ ধরনের আয়োজন সম্ভব হচ্ছে না। তবে করোনার সময়ে মুক্ত সাংবাদিকতা, এমন কি সাংবাদিকদের পেশা নিয়ে বেচে থাকাই এখন দুরুহ অবস্থায় দাড়িয়েছে। বর্তমানে ৪৫ জনের বেশি সাংবাদিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। একজন সিনিয়র সাংবাদিক সহ ২ জন সাংবাদিক ইতোমধ্যে দু:খজনক ভাবে মারা গেছে।
অধিকাংশ পত্রিকার প্রিন্ট কপি বন্ধ রয়েছে। করোনার সময়েও বিভিন্ন পত্রিকা বন্ধ করা হচ্ছে, অনেক ক্ষেত্রে চাকুরী চ্যুতির ঘটনা ঘটেছে। ত্রাণ নিয়ে রিপোর্টিং এর কারনে ভোলা সহ সারাদেশে সাংবাদিকরা হামলার শিকার হচ্ছেন। নংরসিংদী সহ বিভিন্ন জেলায় ডিজিটাল সিকিরুটি এ্যাক্ট এর আইনে মামলা দায়ের করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে এক অসহনীয়, দুর্বিপাক, অস্বাভাবিক পরিস্থিতি, সেই সাথে করোনার ছোবল, গণমাধ্যমে চাকুরীর অনিশ্চিয়তা, বেতন বকেয়া থাকা বা বন্ধ হয়ে যাওয়া, এক অনিশ্চিত পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি এই দিবস কে সামনে রেখে সাংবাদিকদের যেমন সুস্থতা কামনা করছে, সেই সাথে তার নিয়মিত বেতন ভাতা, ও চাকুরীর নিশ্চয়তার আহবান জানাচ্ছে।
সম্প্রতি প্রধাণমন্ত্রীর প্রণেদনায় মুক্ত সাংবাদিকতা অব্যাহত রেখেই সাংবাদিকদের কল্যানণ একটি অংশ ব্যায় করার দাবী জানাচ্ছে।সাংবাদিকদের মধ্যে কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে তার উপযুক্ত ব্যায়ভার কতৃপক্ষ বা রাস্ট্রকে বহন করার দাবী জানাচ্ছে। কারো মৃত্যু হলে কতৃপক্ষ বা সরকারকে ঐ পরিবারের পাশে থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের দাবী জানাচ্ছে। সম্প্রতি সাংবাদিকতার সূচকে এক ধাপ নেমে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করছে।
বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি মনে করে, দেশের এই পরিস্থিতিতে মুক্ত সাংবাদিকতাই পারে সকল পর্যায়ে সমস্যা নিরসনে আলোক বর্তিকা হয়ে পথ দেখাতে।সাংবাদিকতার স্বাধীনতার মাধ্যমে দূর করা সম্ভব, সামাজিক অন্যায়, অবিচার দূনির্তী, আর সবলের অত্যাচার। মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে সকলকে আবারো শুভেচ্ছা। সুশান্ত ঘোষ সভাপতি, বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি মিথুন সাহা সম্পাদক,বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি ৩ মে,২০২০