২৩ দিনের ব্যবধানে পদ্মা সেতুর ওপর বসেছে আরও একটি স্প্যান।
সোমবার (৪ মে ) সকালে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে ১৯ ও ২০ নম্বর পিলারের ওপর বসল ২৯তম স্প্যান এবং এর মাধ্যমে দৃশ্যমান হলো সেতুর ৪.৩৫ কিলোমিটার।
এদিকে, ৪১টি স্প্যানের মধ্যে ২৯তমটি বসানো হলো। বাকি রয়েছে আর ১২টি স্প্যান। চলতি মাসের মধ্যে আরো একটি স্প্যান বসনো হতে পারে।
সোমবার সকালে স্প্যান বসানোর বিষয়ে পদ্মা সেতু প্রকল্পের উপসহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সকাল ১১টা ১২ মিনিটে ২৯তম স্প্যান বসানোর কাজ শেষ হয়।
এদিকে প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, পুরো সেতুতে মোট পিলারের সংখ্যা ৪২টি। সবগুলো পিলারের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। একটি থেকে আরেকটি পিলারের দূরত্ব ১৫০ মিটার। এ দূরত্বের লম্বা ইস্পাতের কাঠামো বা স্প্যান জোড়া দিয়েই সেতু নির্মিত হচ্ছে। ৪২টি পিলারের ওপর ৪১টি স্প্যান বসানো হবে। স্প্যানের অংশগুলো চীন থেকে তৈরি করে বাংলাদেশে আনা হয়
তাছাড়া, পুরো সেতুতে ২ হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে। আর রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে ২ হাজার ৯৫৯টি।
মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।
দ্বিতল পদ্মা সেতু হচ্ছে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া ও শরীয়তপুরের জাজিরার মধ্যে। মূল সেতুর দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিলোমিটার। যার মধ্যে আজ দৃশ্যমান হলো ৪.৩৫ কিলোমিটার।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে শুরু হয়েছিল পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ। যা আগামী বছরের জুন মাস নাগাদ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তারপরেই পদ্মা সেতুতে যান চলাচল করবে বলে জানিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, এর আগে চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি ৩২ এবং ৩৩ নম্বর পিলারের ওপর বসেছে ২১তম স্প্যান এবং ২৩ জানুয়ারি ৫ এবং ৬ নম্বর পিলারের ওপর বসেছে ২২তম স্প্যান এবং ফেব্রুয়ারি মাসের ২ তারিখে বসেছে ২৩তম স্প্যান, ১১ ফেব্রুয়ারি বসেছে ২৪তম স্প্যান এবং ২১ ফেব্রুয়ারি বসেছে ২৫তম স্প্যান। ১০ মার্চ বসেছে ২৬তম এবং ২৮ মার্চ বসেছে ২৭তম স্প্যান আর ১১ এপ্রিল বসেছে ২৮তম স্প্যান।