জীবন ও জীবিকার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে গণমুখী ও কল্যাণমুখী বাজেট আসছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, মানুষের জীবন ও জীবিকার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১১ জুন) সংসদে গণমুখী ও কল্যাণমুখী বাজেট উত্থাপিত হবে।
বুধবার (১০ জুন) ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন-৫ এর নর্দান রুটের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে যুক্ত হয়ে সেতুমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকলের মতামত নিয়েই যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। সরকারে যেমন তেমনি দলেও তিনি সবার সঙ্গে আলাপ আলোচনার মধ্য দিয়ে যে কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাসী এ দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আওয়ামী লীগেই একমাত্র দলের অভ্যন্তরে গণতন্ত্র চর্চা করে। করোনা সংকটে প্রধানমন্ত্রী এবিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। তিনি বাজেট প্রণয়নের আগে দীর্ঘ সময় নিয়ে অংশীজনদের মতামত ও পরামর্শ নিয়েছেন। অর্থনীতিবিদ ছাড়াও অভিজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে গবেষণা ও পার্টির ইশতেহারের সাথে সমন্বয় করে বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে।
বাজেট প্রণয়নে পরামর্শ নেওয়া হয় না বলে বিএনপি মহাসচিবের মন্তব্য সত্যের অপলাপমাত্র উল্লেখ করেন এবং জীবন ও জীবিকার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে গণমুখী ও কল্যাণমুখী বাজেট জাতীয় সংসদে আগামীকাল উত্থাপিত হবে বলেও জানান তিনি।
করোনা বিস্তারের ক্রম অবনতিশীল পরিস্থিতিতে যে সকল স্থানে লকডাউন করা হয়েছে সেসব এলাকার মানুষদের ধৈর্যের সাথে পরিস্থিতি মোকাবিলার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই সিদ্ধান্ত আপনার, আমার, আমাদের সকলের কল্যাণে নেওয়া হয়েছে। আর যে সকল এলাকা লকডাউন এর আওতামুক্ত আপনারা স্বাস্থ্যবিধি না মানলে পরিস্থিতি আরও অবনতি হবে।
তিনি বলে, যদি আবারও দ্বিতীয় ধাপে আক্রান্ত শুরু হয় তাহলে সরকার দেশের সকল এলাকায় কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে। তাই প্রত্যেকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। পরিস্থিতির আরও অবনতি না ঘটিয়ে আসুন, আমরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যে পরামর্শ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে নির্দেশনা সেটা অক্ষরে অক্ষরে পালন করি। এই সময় কেটে যাবে আমাদের সকলের সমন্বিত প্রয়াসে। আমরা করোনা সংকট থেকে মুক্তি পাবো, এই প্রত্যাশা করি।