ভাড়া ২৯ থেকে ৩৬ শতাংশ না বাড়ালে ২৭ জুন থেকে সারা দেশে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেবে লঞ্চ মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল (যা-প) সংস্থা। করোনাভাইরাস সংক্রমণে যাত্রী কমে যাওয়া এবং গত সাত বছরে ভাড়া না বাড়ানোর কারণ দেখিয়ে এ ধর্মঘটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন লঞ্চ মালিকরা। আজ বা কালকের মধ্যে সরকারকে এ আলটিমেটাম দিতে যাচ্ছে সংস্থাটি।
জানা যায়, ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বৈঠক করেন তারা। বৈঠকে লঞ্চ মালিকরা বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে যাত্রী কমে গেছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ও স্থানীয় প্রশাসন স্বাস্থ্যবিধি মানাতে গিয়ে যাত্রী সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে লঞ্চ চালানো সম্ভব নয়। বৈঠকে লঞ্চে ভাড়া ২৯ থেকে ৩৬ শতাংশ না বাড়ালে আগামী ২৭ জুন থেকে সারা দেশে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেয়ারও সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জানান, যাত্রী জিম্মি করে কোনো দাবি আদায় করা যাবে না। ভাড়া বৃদ্ধির দাবি যৌক্তিক হলে সরকারই বিবেচনা করবে। এজন্য আন্দোলন করার সুযোগ নেই। তিনি বলেন, লঞ্চ মালিকরা আগে থেকেই ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়ে আসছে। আমরা কমিটি করে দিয়েছি দাবির যৌক্তিকতা খতিয়ে দেখার জন্য। কমিটির রিপোর্ট আসুক তারপর দেখা যাবে। আমাদের কাছে মালিকরা যেমন গুরুত্বপূর্ণ যাত্রীরাও তেমন গুরুত্বপূর্ণ।
এ বিষয়ে সংগঠনের প্রেসিডেন্ট মাহবুবউদ্দীন আহমেদ বীর বিক্রম জানান, ১০ জুনের মধ্যে ভাড়া বাড়াতে বিআইডব্লিউটিএকে বলেছিলাম। কিন্তু তারা করেনি। তাই মালিকেরা করণীয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন, যাত্রী নেই, অনেক জাহাজ বসে আছে। এখন ভাড়া না বাড়ালে জাহাজ চালানো সম্ভব হবে না।