পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় বাবার বিরুদ্ধে আপন মেয়ে (১৪) কে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে স্ত্রী। রবিবার (১৯ জুলাই) রাতে উপজেলার ঘোপখালী গ্রামের ওই ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে স্বামী পঞ্চাশোর্ধ সেলিম বেপারীর বিরুদ্ধে মঠবাড়িয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ সোমবার মেয়েটির ডাক্তারী পরীক্ষা জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে সম্পন্ন করেছে। ঘটনার পর থেকেই লম্পট সেলিম বেপারী পলাতক রয়েছে।
মামলা সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার ঘোপখালী গ্রামের আ. রব বেপারীর পুত্র ৫ সন্তানের জনক লম্পট সেলিম বেপারী তার নিজের মেয়েকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এতে সে রাজি না হয়ে প্রতিবাদ করলে নিজ পিতা মেয়েটির ওপর মানসিক ও শারিরীক নির্যাতন চালায়। এক পর্যায়ে চলতি মাসের ৫ জুলাই হতদরিদ্র পরিবারের মেয়েটির মাকে কৌশলে বাজার করার কথা বলে হাটে পাঠায়। এরপর একাকী ঘরে পেয়ে নিজ পিতা মেয়েটির মুখ চেপে ধরে জোর পূর্বক খাটের ওপর সোয়াইয়া ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। পরে বাজার থেকে ফিরে এলে মেয়েটি তার মায়ের কাছে ধর্ষণের ঘটনাটি খুলে বলে। এরপর ধর্ষিতার মা বিষয়টি স্বামীর কাছে জিজ্ঞেস করিলে সেলিম বেপারী ক্ষিপ্ত হয়ে বলে বিষয়টি কাউকে জানালে এবং মামলা-মোকদ্দমা করিলে ধর্ষিতা, ধর্ষিতার মা, দুই শিশুপুত্রকে খুন-জখম করার হুমকি প্রদর্শণ করে। পরে স্বামীর অব্যাহত অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে আত্মীয়-স্বজনের সাথে আলাপ-আলোচনা করে ঘটনার ১৭ দিন পরে থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
ধর্ষিতা মেয়েটি বলেন, বাবা এর আগেও আমাকে চাকুরীর কথা বলে চট্ট্রগ্রামে নিয়ে আমার ওপর পাষবিক নির্যাতন করে। পরে আমি আত্মহত্যা করার হুমকি দিলে আমার ওপর মানসিক নির্যাতন চালায়।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুদুজ্জামান মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সোমবার (২০জুলাই) মেয়েটির ডাক্তারী পরীক্ষা জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে সম্পন্ন হয়েছে। আসামী পালিয়ে যাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে তাকে গ্রেফতারে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।