রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ মিনারের বেদিতে জুতা পায়ে শাখা ছাত্রলীগ নেতা গোলাম রব্বানি রবির মোটরসাইকেল চালানোর ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে ওই নেতা এমন কাণ্ড ঘটান বলে জানা যায়। এ সময় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাও শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে।
জানা যায়, রাবি ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক গোলাম রব্বানি সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর অনুসারী। মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে গোলাম রব্বানি, শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন সজীব, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক আশিক আজাদ, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক ও রাবি ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি রবিউল সরকার রুবেল ও ছাত্রলীগকর্মী ফয়সাল শহীদ মিনার চত্বরে আড্ডা দিচ্ছিলেন। আড্ডার একপর্যায়ে গোলাম রব্বানি মোটরসাইকেল নিয়ে শহীদ মিনারের সিঁড়ি দিয়ে প্রায় ১৫ ফুট উচুতে উঠে পড়েন। এরপর তিনি বাইক ঘুরিয়ে নিচে নেমে আসেন। এ সময় তার পায়ে জুতাও ছিল।
এ বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন সজীব বলেন, ‘রাতে শহীদ মিনারের সামনে আড্ডা দিচ্ছিলাম। আড্ডার একপর্যায়ে রবি বাইক স্টার্ট দেয়। ভেবেছিলাম, সে চলে যাচ্ছে। কিন্তু হঠাৎ করেই সে বাইক নিয়ে শহীদ মিনারের বেদিতে উঠে পড়ে। তার এই কর্মকাণ্ডে আমরা অবাক হই। সে নেমে আসার পর এই কাজের জন্য তাকে আমরা বকাঝকা করি।’
এ বিষয়ে গোলাম রব্বানির বক্তব্য জানতে একাধিকবার তার মোবাইল ফোনে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম কনক এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এটা আমাদের ভাষাশহীদদের জন্য চরম অপমানের বিষয়। পাশাপাশি লজ্জারও বটে। ক্ষমতাসীন দলের একটি ছাত্রসংগঠনের নেতা, যিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ ও লালন করেন, তার কাছ থেকে এহেন কর্মকাণ্ড প্রত্যাশিত নয়।’
জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, ‘আমার এটি জানা ছিল না। সাংবাদিকদের কাছ থেকে জেনেছি। যদি গোলাম রব্বানি এ কাজ করে থাকে, তাহলে খুবই খারাপ কাজ করেছে। তাকে ডেকে এ বিষয়ে কথা বলা হবে।’