বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

বরগুনায় স্বামী বাসর ঘরে ঢুকে দেখলেন স্ত্রী ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা

বরগুনায় স্বামী বাসর ঘরে ঢুকে দেখলেন স্ত্রী ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা

মেয়ের বয়স ১৬ বছর। সংসারের টানাপড়েনের কারণে একবছর আগে মেয়েকে মামার বাড়িতে দেখাশুনার জন্য রেখে যান মা-বাবা। কিন্তু দীর্ঘদিন একই ঘরে থাকার পরে মামাতো-ফুফাতো ভাই-বোনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের এক পর্যায় শারীরিক সম্পর্ক হয়। কিশোরীকে হয়ে যায় অন্তঃসত্ত্বা। এরই মধ্যে মামাতো ভাই সোলায়মানের চাকরি হলে তিনি ট্রেনিংয়ে চলে যান। হঠাৎ করেই বদলাতে শুরু করে সকল প্রেক্ষাপট। পরিবর্তন হতে শুরু করে বোনের শরীর, চেহারা।

কিশোরীর অন্তঃসত্বার খবর গোপন রেখেই ১৫ জুলাই কালমেঘা ইউনিয়নের বাসিন্দা লাল মিয়ার ছেলে মাজহার উদ্দিন টেকনিক্যাল কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী জহির উদ্দিনের সঙ্গে পারিবারিকভাবে ওই কিশোরীর বিয়ে হয়। বিয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন কাকচিড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন পল্টু। কোরবানির ঈদের আগের দিন স্বামী জহির স্ত্রীকে তার বাড়িতে তুলে নেন। তখনও জহির জানতেন না নববধূ অন্তঃসত্ত্বা। এরপর বাসর ঘরে প্রকাশ পায় নববধূ অন্তঃসত্ত্বা।

জানা গেছে, উপজেলার শিংড়াবুনিয়া গ্রামের ওই কিশোরীর মা-বাবা ঢাকায় কাজ করতেন। ১৬ বছরের মেয়ের নিরাপত্তার কথা ভেবে ৯/১০ মাস আগে আপন ভাইয়ের বাড়িতে রেখে যান। কিন্তু আবুল কালামের বাড়িতে থাকা অবস্থায় তার ছেলে সোলায়মানের সঙ্গে কিশোরীর অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে মামাতো ভাই সোলায়মানের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে অন্তঃসত্ত্বা হন ওই কিশোরী। এ খবর চেপে রেখেই অভিভাবকরা কাকচিড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন পল্টুর উপস্থিতিতেই ইউপি কার্যালয়ে জহিরের সঙ্গে ওই কিশোরীর বিয়ে দেন। বাসর ঘরে টের পেয়ে পেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে স্বামী জহির। বিষয়টি জহির তার ভাবিকে জানালে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করায় প্রমাণ মেলে সে ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ডাক্তারি পরীক্ষায় কিশোরী ৩২ সপ্তাহ অন্তঃসত্ত্বা বলে জানা হয়। চলতি বছরের নভেম্বরের ৬ তারিখে সম্ভাব্য ডেলিভারি তারিখ।

বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ পর্যন্ত গড়ায়। শুক্রবার বিকালে কিশোরীর মা পাথরঘাটা থানায় নারী ও নির্যাতন দমন আইনে তার আপন ভাই, ভাইয়ের ছেলে ও ভাইয়ের বউকে আসামি করে পাথরঘাটা থানায় মামলা দায়ের করে।

জহির উদ্দিন বলেন, আমার জীবনটা নষ্ট করে দিয়েছে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেয়ের অভিভাবকরা। আমি এর বিচার চাই।

জহির উদ্দিনের ভাই আল-আমিন বলেন, কাকচিড়ার চেয়ারম্যান পল্টু স্থানীয় কাজীকে ডেকে এনে বিয়ে পড়ান এবং কাবিন রেজিস্ট্রি করিয়ে দেন।

এদিকে শুক্রবার আবুল কালামকে পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিসিয়াল আদালতে প্রেরণ করা হলে তাকে জেল হাজতে পাঠান হয়। অভিযুক্ত মামাতো ভাই সোলায়মানের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

অভিযুক্ত কাকচিড়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আলাউদ্দিন পল্টু টেলিফোনে বলেন, বিষয়টি আমি অবগত নই। আমার কার্যালয়ে এমন কোন বিয়ে হয়নি।

পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ওই কিশোরীর মামাতো ভাই সোলায়মান ও তার বাবা-মাকে আসামি করে থানায় মামলা করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে বাবা কালামকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech