বরিশাল সরকারি বিএম কলেজের সমাজকল্যাণ বিভাগে মাস্ক পরে দুর্বৃত্তরা হামলা ও ভাঙচুর করেছে। এসময় তারা ওই বিভাগের কম্পিউটার অপারেটর মিজানুর রহমান বাচ্চুকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে আহত করে। হামলাকারীরা ওই বিভাগের সিসি ক্যামেরার নিয়ন্ত্রণকারী কম্পিউটার সিপিইউ নিয়ে গেছে। বাসা থেকে মোবাইলে ডেকে নিয়ে হামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আহত বাচ্চু। হামলার কারণ সম্পর্কে কিছু জানাতে পারেননি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। এদিকে পুলিশ বলছে তদন্ত করে নেয়া হবে যথাযথ ব্যবস্থা।
বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে বিএম কলেজের সমাজ কল্যাণ বিভাগের দ্বিতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহত কম্পিউটার অপারেটর মিজানুর রহমান বাচ্চু জানান, তাকে মোবাইলে ফোন দিয়ে কলেজের নম্বর ফর্দ নেয়ার কথা বলে সমাজ কল্যাণ বিভাগে ডেকে নেয়া হয়। সেখানে পৌঁছাতেই আগে থেকে অবস্থানকারী মাস্ক পরিহিত একদল দুর্বৃত্ত লাঠি সোটা, লোহার রড ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে অতর্কিতে তার ওপর হামলা চালায়। এতে তিনি রক্তাক্ত হন।
এরপর হামলাকারীরা সমাজ কল্যাণ বিভাগে শিক্ষকদের কক্ষে ঢুকে এলোপাথাড়ি ভাঙচুর করেন। তারা সিসি ক্যামেরার মনিটর, টেলিভিশন, টেলিফোন, শিক্ষকদের সকল টেবিলের গ্লাস ভাঙচুর এবং অন্যান্য আসবাবপত্র তছনছ করেন। শেষে সিসি ক্যামেরা নিয়ন্ত্রণকারী কম্পিউটার সিপিইউ নিয়ে চলে যান তারা।
এ ব্যাপারে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া বলেন, ২০-২৫ জন মিলে এ হামলা চালিয়েছেন। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে হামলার পরপরই কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে কাউকে আটক করতে পারেনি তারা। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল ইসলাম।
হামলায় আহত মিজানুর রহমান বাচ্চুকে শের-ই বাংলা মেডিকেলের সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। হামলাকারীদের গ্রেফতার ও বিচার দাবি করেছেন মিজানুরের স্বজনরা।
উল্লেখ্য, করোনার কারণে কলেজ বন্ধ থাকলেও নম্বর ফর্দ দেয়ার জন্য সকল বিভাগের অফিস খোলা রয়েছে।