জাতীর জনক স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর কণ্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪ তম জন্মদিন উপলক্ষে বিভাগীয় শহর ও বরিশাল বিসিসি নগরীর কেন্দ্রীয় শহীদর মিনার সংলগ্ন নির্মানাধীন বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়াম ভবনে সংবলিত উদ্বোধন করা হয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র ঐতিহাসিক ম্যুরাল।
জন্মদিনে বরিশালবাসীর উপহার হিসেবে আজ সোমবার সন্ধায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়ামে ম্যুরালের উদ্বোধণ করেন বিসিসি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাাহ।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগর সভাপতি এ্যাড. একেএম জাহাঙ্গীর হোসাইন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য এ্যাড. তালুকদার মোঃ ইউনুস সহ মহানগর ও জেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠন নেতৃবৃন্দ এবং নগর কাউন্সিলর বৃন্দ।
এর পূর্বে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্দদিন উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে দলীয় নেতা কর্মী ও অঙ্গ সংগঠনের উপস্থিতিতে মিলাদ ও দোয়া-মোনাজাত আয়োজন করা হয়।
দোয়া-মোনাজাত পরিচালনা নগরের জামে এবায়েদুলাহ মসজিদের খতিব আলহাজ্ব মাওলানা মির্যা নুরুর রহমান বেগ।
উল্লেখ্য রং-বেরংয়ের পাথর দিয়ে ৫০ ফুট উচ্চতার দৃষ্টিনন্দন ম্যুরালটির নির্মান কাজ শেষ করা হয়েছে ৪৫ দিন ও রাত পরিশ্রম করে। দলীয় নেতাকর্মীরা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের উপহার স্বরূপ দেশের সর্ববৃহৎ এ ম্যুরালটি নির্মাণ করা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুলাহর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ম্যুরালটি নির্মিত হয়েছে। আর এটি নির্মাণের প্রধান উদ্যোক্তাও সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুলাহ।
ইতোমধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ ম্যুরালটির উচ্চতা ৫০ ফুট এবং চওড়া ৪০ ফুট। দৃষ্টিনন্দন এ ম্যুরালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বুকে জড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। দেখে মনে হয় এযেন বাবার বুকে জড়িয়ে আছে আদরের মেয়ে শেখ হাসিনা। ম্যুরালের পেছন রয়েছে ত্রিশ লক্ষ শহীদ ও দুই লক্ষ মা-বোনের সভ্রমের বিনিময় অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের সবুজ ও লালের মিশ্রণে জাতীয় পতাকার প্রতিকৃতি।
বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়ামকে ঘিরে নির্মিত হয়েছে এ ম্যুরালটি। যার নকশা তৈরি করেছেন ঢাকার চারুকলার একটি দল। আর ম্যুরালের চিত্রটির রূপ দিয়েছেন চারুকলার শিল্পী রুদ্র।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা জানান, নবনির্মিত এ ম্যুরালটি ইতিহাস-ঐতিহ্যের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বরিশাল শহরকে জাগিয়ে তুলেছে। ম্যুরালটির চিত্র রূপকার চারুকলার শিল্পী রুদ্র বলেন, বিদেশী উন্নতমানের টাইলসের বিভিন্ন রঙ্গের টুকরা দিয়ে এটি চিত্রায়িত করা হয়েছে। চারজন সহযোগিকে নিয়ে দীর্ঘ ৪৫ দিন ও রাত পরিশ্রম করে এর নির্মাণকাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।
এটি হবে দেশে জাতির জনকের সবচেয়ে বড় ম্যুরাল। এরআগে এতো বড় ম্যুরাল দেশের অন্য কোথাও নির্মাণ হয়নি বলেও তিনি উলেখ করেন। বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গবন্ধুর কন্যার এ ঐতিহাসিক ম্যুরাল তৈরির জন্য বরিশালের মুক্তিযোদ্ধা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিকসহ সকল অঙ্গনের সর্বস্তরের জনতা সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুলাহকে সাধুবাদ জানিয়েছে।