আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যে কোনো অপরাধের দায় অপরাধীর। অপরাধী যেই হোক সব অপরাধীর পরিচয় হলো তারা দুর্বৃত্ত। দুর্বৃত্তের কোনো দলীয় পরিচয় নেই। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা হলো অপরাধী যত বড় নেতাই হোক যত প্রভাবশালীই হোক তার অপকর্মের শাস্তি তাকে পেতেই হবে। তাই সবাইকে বলবো, কোনো প্রতিবাদের দরকার নেই। আপনারা শুধু বলুন কোথায় কি অপরাধ হয়েছে সরকারের গোচরে না থাকলে সরকার অবশ্যই এ ব্যাপারে তদন্ত করে খুঁজে বের করবে এবং ব্যবস্থা নেবে।
মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সম্পাদকমণ্ডলীর সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ধর্ষণ একটি সামাজিক ব্যাধি। এটি এক ধরনের সন্ত্রাসও বটে। করোনাকালে এই সংকট এতোটা ছিল না, এখন আগের চেয়ে প্রবণতাটা বেড়েছে। ধর্ষণকে রাজনৈতিক ট্যাগ দিয়ে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করলে সুষ্ঠু বিচারের প্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা থাকে? কোনো অপরাধের দায় শুধু অপরাধীর। অপরাধী যেই হোক সব অপরাধীর পরিচয় হলো তারা দুর্বৃত্ত, দুর্বৃত্তের কোনো দলীয় পরিচয় নেই ।
তিনি বলেন, আমরা আন্দোলনের রাজনৈতিক ইস্যূ তুলে নিতে কাউকে অ্যালাউ করিনি। সরকার সপ্রণোদিত হয়েই সর ধরনের অপরাধের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম শুরু করেছে। সাম্প্রতিককালে বেশকিছু অপরাধের বিচারকার্য সম্পন্ন হয়েছে। এদের কারও প্রতি কোনো পক্ষপাত শেখ হাসিনার সরকার দেখাননি, নিজের দলের লোক হলেও তাদের রেহাই নেই।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের দলের সভাপতির নির্দেশনা হলো, অপরাধী যত বড় নেতাই হন, যত প্রভাবশালী হোক না কেন তাকে শাস্তি পেতেই হবে। আমাদের সরকারের অনেক এমপি মন্ত্রীকেও আদালতে হাজিরা দিতে হয়েছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আমরা আইনের শাসনে বিশ্বাস করি, ধর্ষকের একমাত্র পরিচয় সে অপরাধী। ধর্ষণ রোধে আমাদের সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এ সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।
এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনি আমাকে একটা দেখান, যেটা বিচারের আওতায় আসেনি? ইভেন মেজর সিনহা হত্যাকাণ্ড? সেখানেও কি কোনো অপরাধীকে ছাড় দেওয়া হয়েছে? নুসরাত হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে কোথায় সরকারের মধ্যে শৈথিল্য ছিল একটা উদাহরণ দিন? কিন্তু আমি আপনাদের বলতে চাই, যারা এসব অপবাদ দেন, তারা ক্ষমতায় থাকতে বাংলাদেশ একটাও কি ধর্ষণের বিচার হয়েছে। তখন সারা দেশে ধর্ষণের যে একটা অবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল।
ওবায়দুল কাদের বলেন, কাজেই এখানে কোনো আপোষ নেই। কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না। আমি সবাইকে বলবো, ধৈর্য ধরতে। প্রতিবাদ করার দরকার নেই। প্রতিবাদ যে জন্য করা হচ্ছে, এই ঘটনার বিচার সরকার করছে। ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে রেহাই দিচ্ছে না।